আবাসন সংকটে বিপাকে পড়েছেন খুলনার কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় দূরের ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছেন না। ১০ কক্ষবিশিষ্ট একটি দোতালা ভবনে বর্তমানে ৭০ ছাত্রী অবস্থান করছেন। কলেজটি সরকারি হওয়ার পর ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। যে কারণে হোস্টেলে আবাসন সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে কলেজটিতে ৬৯০ ছাত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে হোস্টেলে থাকার জন্য ৩ শতাধিক ছাত্রী আবেদন করলেও জায়গা স্বল্পতার কারণে ডাবল সিট ব্যবস্থা করে থাকার স্থান পেয়েছেন মাত্র ৭০ ছাত্রী। আবাসন সংকটের কারণে হোস্টেল ছাড়া একাডেমিক ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে তারা অনেক কষ্টে অবস্থান করছেন।
কলেজটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাবিনা সুলতানা জানান, হোস্টেলে আসন পাওয়ার জন্য আবেদন করেও ব্যবস্থা হয়নি। এ কারণে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ক্লাস করতে হচ্ছে তাকে। যাতায়াত খরচের কারণে নিয়মিত ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে।
একই বর্ষের তাসলিমা খাতুনেরও একই অভিযোগ। দূরে বাড়ি হওয়ায় নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে তাকে।
কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আমিনুর রহমান বলেন, কলেজটি জাতীয়করণ করা হলেও এখন পর্যন্ত এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। এ মুহূর্তে কলেজটির আবাসন সংকট দূর করতে আরও দুটি ভবন প্রয়োজন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম সুলতান মাহমুদ বলেন, কলেজটিতে ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অন্তত একটি হোস্টেল নির্মাণ করা দরকার। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান বলেন, কলেজটির আবাসন সংকট দূর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে।