মিথিলা মুক্তা, দৈনিক আমাদের বার্তা: কাম্য শিক্ষার্থীবিহীন কলেজগুলোর দুষ্টুমি ও ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ সফটওয়্যারের জটিলতায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমছেই না। প্রতিদিনই শত শত ভর্তিচ্ছু ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ভিড় জমাচেছন। তাদের আবেদনে লেখা রয়েছে- কে বা কারা তাদের অজান্তেই আবেদন করে ফেলেছেন। আর বোর্ড কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে- কালই সমাধান হবে। কিন্তু কাল আর ফুরোচ্ছে না। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের পিন কোড, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন, কোটা ও ভুয়া আবেদনের সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট কক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা বোর্ড জানায়, পিন কোড ও মোবাইল নম্বর পবিবর্তনের জন্য ৪০৩ ও ৪০৭ নম্বর কক্ষে যথাক্রমে সাগর দে ও সুশান্ত রাহার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যেকোনো কোটার ক্ষেত্রে ৪০৩ ও ৪০৯ নম্বর কক্ষে লোকমান মুন্সী ও তুষার বাড়ৈর সঙ্গে যোগযোগ করতে হবে। একইসঙ্গে, যেকোনো ভুয়া আবেদন বা একজনের আবেদন আরেকজন করলে ৪১২ নম্বর কক্ষে অসীম সমাদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, একাদশে ভর্তিতে গত ৩ জুন পর্যন্ত ১০ লাখ ১৮ হাজার জন আবেদন করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। সে হিসেবে এখনো আবেদনের বাইরে রয়েছেন ছয় লাখের অধিক শিক্ষার্থী।
এর আগে গত ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় সে দিন এ কার্যক্রম শুরু হয়নি। পরদিন দুপুরের পর এই জটিলতার কিছুটা অবসান হয়। এরপর শুরু হয় পেমেন্ট সংক্রান্ত ‘সমস্যা’।
সে সময় পেমেন্টে ঝামেলা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমরা আগে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছি। এরপর ধীরে ধীরে পেমেন্ট হচ্ছে। ভালোভাবেই আবেদন কার্যক্রম চলছে। খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।
যদিও সফটওয়্যারের বিড়ম্বনার কারণে আবেদনের সময় দুদিন বাড়ছে জানিয়ে তপন কুমার সরকার তখন বলেন, এমনিতেই আবেদনের সময় ১১ জুন পর্যন্ত আছে। এই সময়ে যারা আবেদন করতে পারবেন না তাদের জন্য সময় দুদিন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই বিভাগ একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে। অর্থের বিনিময়ে তারা ভর্তি প্রক্রিয়াকরণের সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে।
এবার অনলাইনে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারছেন। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি নেয়া হবে। তা চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ৩০ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
