আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষায় অকৃতকার্যে আত্মহত্যা, দায় কার?

শেখ রাশেদুজ্জামান রাকিব |

বিশ্বজুড়ে শিক্ষার বিস্তৃত পরিসরে উন্নতি লাভ করার পরও এর গুণগত মানের অধিকতর উৎকর্ষতা নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার তাত্ত্বিক মর্মোদ্ধার, বিশ্বের সবাইকে শিক্ষার আওতায় আনার প্রচেষ্টা, একে অধিকতর সৃজনশীল ও ব্যবহারিক করার কলাকৌশল নির্ধারণ, সবার জন্য বোধগম্য শিক্ষার প্রচলন, সভ্যতার সঙ্গে মানানসই শিক্ষার প্রবর্তন, নৈতিকতার ক্রমবিকাশ ঘটানো, দক্ষ মানব শক্তি উৎপাদন, মানুষের অন্তর্নিহিত সৃষ্টিশীল মেধার অন্বেষণ ও বহিঃপ্রকাশ ঘটানো প্রভৃতি প্যারামিটার খুঁজে বের করা।

আবার বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শিক্ষার মূল্যায়নের মাপকাঠি রয়েছে। কেননা অর্জিত শিক্ষায় কে কতটা অগ্রসর তার ভিত্তিতেই সমাজ জীবনে তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার প্রথা বিদ্যমান এবং অনেকটা যুক্তিসংহতও বলা চলে। আর শিক্ষার মূল্যায়নের মাপকাঠির ধরন দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হলেও পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা মূল্যায়নের প্রথাই অধিকাংশ রাষ্ট্রে বিদ্যমান। আর সেই সর্বজনীন মাপকাঠির সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে আমাদের দেশেও পরীক্ষা

পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী বা চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীদের মেধার মূল্যায়ন করা হয়। তবে বিশ্বের উন্নত বা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে আমাদের প্রভেদ এই যে, তারা পরীক্ষায় পাস বা ভালো নাম্বার পাওয়াকেই শিক্ষার সার্বিক উন্নতি বা একজন শিক্ষার্থীর সাফল্য নির্ধারণ করে না। বরং তারা শিক্ষার প্রায়োগিক দিক বা একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার বিষয়টিতেই অধিকতর গুরুত্বারোপ করে।

এজন্য দেখা যায় যে, তাদের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা ও জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিল্প-সাহিত্যে তথা সামগ্রিক বিশ্বের সৃষ্টিশীল কর্মে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে সেই ভাবনা আমাদের বিজ্ঞজনেরাও হয়তো ভাবতে পারেন না। কেননা তাদের পরীক্ষায় পাস বা ভালো রেজাল্ট করার জন্য মারামারি নেই; পরিবার, সমাজ বা অন্যান্য কোনো মাধ্যমেই তার গ্রেড নিয়ে কটাক্ষ করে না বা প্রশ্ন তোলে না। সেই তুলনায় আমাদের শিক্ষার মহানব্রত হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্ট করার জন্য পরিবারের চাপ এবং প্রতিযোগিতা।

একটি শিশুর সুপ্ত প্রতিভা গলাটিপে মেরে ফেলে এ দেশের অভিভাবকদের রেজাল্ট নিয়ে অতি আগ্রহ বা রেজাল্ট ও অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নিকৃষ্ট মনোভাব। পারিবারিক আবহ থেকে যে শিশু উন্মেষকালেই শুধু চাপের শিকার হয়ে একগাদা বই বয়ে নিয়ে বেড়ায় মস্তিষ্কে, না বুঝে আপেক্ষিক তত্ত্বের সূত্র পরীক্ষায় গলাধঃকরণের আশায় ব্রেনে গেঁথে রাখে, যে কিনা রবীন্দ্রনাথের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের রস উপভোগ না করে শুধু নীরস তথ্য মুখস্ত করে।

আর এজন্যই দেখা যায়, বিশ্বের উন্নত দেশেগুলো যখন আবিষ্কারে জ্ঞান চর্চায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন করছে, আমরা তখন নিজেদের ছেলেমেয়েকে খারাপ রেজাল্টের জন্য প্রহার করছি, কটাক্ষ করছি বা ধিক্কার দিচ্ছি। খুব বিস্ময় লাগে এজন্য যে এ দেশে রেজাল্ট নামক শব্দ এত সংক্রামক হয়ে গেছে যে, পরীক্ষার পর রেজাল্টের খারাপ-ভালো আশঙ্কায় দিন কাটায়। খারাপ ফলাফলের জন্য পরিবার, সমাজ ও অন্যান্য মহল হতে কটাক্ষ বা বিরূপ মনোভাবের অসহনশীলতার জন্য অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা পর্যন্ত করে বসে। এ অকাল মৃত্যুর দায় কার?

২৩ তারিখে এ দেশে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার অধিক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অন্যান্য সালের তুলনায় রেজাল্টের তুলনামূলক অধঃপতনের কারণ নিয়েই মূলত এ সমালোচনা। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এর মর্মাহত হওয়ার, চোখের জলের দৃশ্য পত্রিকার আলোকচিত্র হয়েছে। পত্রিকায় বাগেরহাটের এক শিক্ষার্থীদের অনাকাক্সিক্ষত ফলাফলের জন্য আত্মহত্যার মতো বেদনাদায়ক খবর ও আমাদের পড়তে হয়েছে। শুধু এ বছর নয়, প্রায় প্রতি বছরই রেজাল্ট হতাশা নিয়ে আত্মহত্যা, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমানে গৃহত্যাগ বা অতি মর্মাহত হওয়ার খবর যথারীতি পড়তে হয়েছে পত্রিকার পাতায়।

কিন্তু এ নিয়ে আত্মহত্যা কেন? এ প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত প্রতি উত্তর এমন যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চাকরি লাভ সব জায়গাই রেজাল্টের অধিক মূল্যায়ন। প্রায়োগিক জ্ঞান যাচাই না করে শুধু রেজাল্টকে অতি গুরুত্ব দেয়ার পদ্ধতির অবস্থান বা সিস্টেম এবং একটি রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে দেশের সেরা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষায় একচ্ছত্র ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন। এ ব্যাপারগুলোর কড়াকড়ি এবং সার্টিফিকেটের অতি বাজারদর রেজাল্টে হোঁচট খাওয়া শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের নিম্নমানের ক্যারিয়ারের আশঙ্কায় আত্মহত্যা করে চিরমুক্তির পথ খোঁজে। এ মুক্তি তার পরিবার হতে, সমাজ হতে এবং সর্বোপরি চার পাশের মানুষের ধিক্কার ও কটাক্ষ হতে। কিন্তু এ আত্মহত্যা কি আমাদের শিক্ষার প্রত্যাশা ছিল? নিশ্চয় না, তবে আমরা কেন এমন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করে, রেজাল্টের প্রতি এত গুরুত্ব দেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে তাদের অকাল মৃত্যুর পথ সুগম করে দিচ্ছি? অথচ এ শিক্ষার্থীই হয়তো আত্মকর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা নিয়ে কৃষিকাজে, মৎস্যচাষে বা এ ধরনের কাজে বিপ্লব ঘটাতে পারত, সমাজের উন্নয়নে বা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু আমরা কি এমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখি তাদের জন্য?

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও কি ত্রুটিমুক্ত? আমাদের শিক্ষার জন্য যে বাজেট থাকে তা ব্যয় করছি শুধু ঘন ঘন শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনের জন্য। কিন্তু এ শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কতটুকু ইতিবাচক দিক আমরা দেখছি? আর এ পদ্ধতিতেও তো পরীক্ষার গ্রেডকেই আমরা মুখ্য বিবেচনা করি। বলাবাহুল্য যতদিন এ দেশে শিক্ষার শুধু ভালো রেজাল্ট প্রত্যাশা নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে বা আমাদের শিক্ষামহল থেকে শুরু করে বাবা-মার দৃষ্টিভঙ্গি রেজাল্টভিত্তিক থাকবে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হতাশায় অকালপ্রয়াণ অব্যাহত থাকবে।

আবার আমাদের পরীক্ষায় খাতা-মূল্যায়ন পদ্ধতি ও বৈশ্বিক মানদ- বা দেশের প্রচলিত সাম্যের মাপকাঠি অনুসরণ করে না। কেননা একই শিক্ষা-ব্যবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষা বছরে ভিন্নভাবে খাতা মূল্যায়ন, দেশের সব বোর্ডে একই মানদ-ে মূল্যায়ন না করা, শিক্ষক ও বিষয়ভিত্তিক অসাম্য সৃষ্টি, অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ ক্যালকুলেশন প্রভৃতি ও এর জন্য দায়ী। এজন্য খাতা মূল্যায়নে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও এদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শিক্ষকদের টেকনিক্যাল ও ন্যায়নিষ্ঠ হতে হবে। একটি উদাহরণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করা যায়। আমার এক শ্রদ্ধেয় ও দেশের স্বনামধন্য শিক্ষক বলেন যে, তার খাতা মূল্যায়নের পদ্ধতি এমন যে, একজন পরীক্ষার্থীর খাতায় একটি প্রশ্নে তার প্রত্যাশিত তথ্য পেলে যেটা কিনা সেই ছাত্রের সামগ্রিক মেধা মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট অর্থাৎ সে অবশ্যই মেধাবী ও বাস্তবমুখী; ছাত্রটি অন্য প্রশ্ন তুলনামূলক খারাপ করলেও ভালো নাম্বার দিতে কার্পণ্য করেন না তিনি।

অর্থাৎ শিক্ষকদের এ আত্মনিষ্ঠার ও দূরদৃষ্টির অধিকারী হতে হবে। আবার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু পাঠ্যবইয়ে সীমাবদ্ধ হওয়ায় এক সময় শিক্ষার্থীদের জন্য একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়। এর ফলে তারা ক্রমান্বয়ে ফাঁকি দেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। অর্থাৎ সত্যিকার অর্থে এ শিক্ষা ব্যবস্থায় তারা অধ্যয়নেও অমনোযোগী হয়ে পড়ে। খুব কম পড়ার অভ্যাসটাও যে ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ সেটা বলাই বাহুল্য। শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে বই পড়ার বদলে তারা এখন তৃপ্তির অন্বেষণ করে ফেসবুক বা কিছু নেটওয়ার্কভিত্তিক সাইটে।

জাপানের স্কুলগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ১ ঘণ্টা পড়ার পরপরই বেঞ্চেই ১০ মিনিট ঘুমাতে দেয়া হয় ব্রেনকে তীক্ষè ও গতিশীল করার জন্য অর্থাৎ অতিরিক্ত তথ্যের চাপ হতে মুক্ত করার জন্য। আর আমাদের দেশের অবস্থা পুরোটাই উল্টো। এখানে অন্য শিশুদের সঙ্গে বাবা-মার রেজাল্টের প্রতিযোগিতার মনোভাব, শিক্ষা শুধু ভালো চাকরি লাভের মাধ্যম এ বিষয়গুলো শিশুর উন্মেষকালেই তার কোমল মানসে বদ্ধমূল করে দেয়ায় সে ভালো নাগরিক বা সুশিক্ষিত হওয়ার প্রেরণা সমাজ, পরিবার, শিক্ষাঙ্গন কোথা হতেই খুঁজে পায় না। নৈতিকতা বর্জিত নীরস মানুষ হয়ে কি আত্মতুষ্টি লাভ করা যায়? এ জন্যই দেখা যায় ছেলেমেয়ের বাবা-মার প্রতি বিতৃষ্ণায় এক সময় অবাধ্য হওয়ায় ব্যক্তিজীবনে হতাশা ও প্রশান্তির অভাব, হেরে যাওয়ার পর হতাশার মনোভাব দেখা যায়।

মনোবিজ্ঞানের তত্ত্বমতে চাওয়ার সঙ্গে সামর্থ্যরে সাংঘর্ষিকতার কারণে হতাশা সৃষ্টি হয়। তাই সেই চাওয়া হতে সরে এসে হতাশা অপসারণ করা উচিত। বিষয়টি অভিভাবকদের উপলব্ধি করার সম্যক প্রয়োজনবোধ করছি। কেননা, যে ছেলের মাথায় অভিকর্ষ কি তা ঢোকে না তাকে ডাক্তার হতেই হবে এ চাপ দেয়া অবাঞ্ছনীয়। আর এ ছেলে পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে ফেল করবে এটাই স্বাভাবিক। আবার আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু সার্টিফিকেটের মর্যাদাভিত্তিক না হয়ে গুণগত মানের মানুষ তৈরির জন্য হওয়া উচিত, যারা মহাকাল জয়ের স্বপ্ন দেখতে সমর্থ, মাঠে গিয়ে চাষ করতে হীনম্মন্যতায় ভুগবে না এবং আদর্শগত বিষয়টিকে জীবনের সেরা অর্জন বলে বিবেচ্য করবে। আমাদের অতি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্মরণ রাখা স্মর্তব্য যে, শিক্ষা কোনো ভোগ্যপণ্য না। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অন্তরাত্মাকে টেনে বাইরে এনে নৈতিকতার প্রতিমূর্তি স্থাপন করা, সৃজনশীল মেধার বিকাশ ঘটানো যার ইতিবাচক ব্যবহারে দেশ ও বিশ্বের কল্যাণ সাধিত হবে। তাই আমাদের শিক্ষাকে শুধু রেজাল্টভিত্তিক না করে উৎকৃষ্ট মানুষ গড়ার জন্য করলে কারও পরীক্ষায় ফেল করার ফলে তার প্রতি আমাদের কটাক্ষ দৃষ্টি থাকবে না এটা নির্দ্ধিধায় বলা যায়। আর কেউ যেন রেজাল্টের হতাশায় অকালে আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় এজন্য শিক্ষা প্রশাসন থেকে শুরু করে পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন অতি জরুরি; নইলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভালো নাগরিক হিসেবে দেখতে পাব না আমরা।

[লেখক : কবি]


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002769947052002