আমেরিকার কোপেন স্টেট ইউভার্সিটির সঙ্গে সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তির মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ম্যাটেরিয়ালস্ সাইন্স, ক্যামেস্ট্রি, অ্যানভায়রনমেন্টাল সাইন্স, ন্যানোটেকনোলজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও জ্ঞানার্জন করার সুযোগ পাবেন৷। তাছাড়া,ম্যাটেরিয়ালস্ সিনথেসিস করে কোপেন স্টেট ইউভার্সিটিতে পাঠালে ল্যাব সুবিধা দেওয়া হবে।
কোপেন স্টেট ইউভার্সিটির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজির ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের চুক্তিতে সই করেন।
আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. বনানী বিশ্বাস।
অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, 'উই বিলিভ ইন ওয়ার্ক। এমওইউ সাইনের চেয়ে কাজটা করা জরুরি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ন্যানো টেকনোলজি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেওয়া ৷'
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পার্থক্য নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বেতন স্কেল পান শিক্ষকরা এখানেও তাই। ঢাবির শিক্ষকরা যা সুবিধা পান এখানেও তাই আছে। বাকিটা হচ্ছে হিম্মত, সাহস। আমেরিকার যে ইউভার্সিটির সাথে আজ এমওইউ সাক্ষর হল সেখান থেকে যদি একটা পাবলিকেশন বের করতে পারে আমাদের শিক্ষকরা সেটাই বড় পাওয়া হবে। রিসোর্সসহ সব ফ্যাসিলিটি তারাই দেবে। তারা শুধু দেখবে অধ্যবসায় আছে কিনা।
তিনি আরও বলেন, 'আজকে যে ইতিহাস রচিত হলো এর ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। এই ধারাবাহিকতা যদি থাকে তাহলে এমনও হতে পারে যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একদিন বাংলাদেশকে লিড দিতে পারে।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক সমিতির নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের প্রধান ও কর্মকর্তা পরিষদের নেতারা।
এমওইউ সাক্ষর শেষে ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷