মহাবিশ্বের মতোই আরেকটি মহাবিশ্বের অস্তিত্ব আবিষ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দেই সেই গুপ্ত ছায়া মহাবিশ্ব আবিষ্কারের জন্য প্রথম পদক্ষেপ নেবে তারা। পূর্বাঞ্চলীয় টেনেসির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা এ সংক্রান্ত পরীক্ষা চালাতে যন্ত্রপাতি নির্মাণের কাজও শেষ করেছেন।
পরীক্ষাটি সফল হলে দেখা মিলতে পারে ছায়া কণা, ছায়া গ্রহ এমনকি প্রাণেরও। এ প্রকল্পের নেপথ্যের পদার্থবিদ লিয়াহ ব্রুসার্ড এমনটাই দাবি করছেন। গুপ্ত ছায়াবিশ্ব আবিষ্কারের বিষয়টি ‘স্ট্রেঞ্জার থিংগস’ সিরিজের সায়েন্স ফিকশনের মতো মনে হতে পারে।
পদার্থ বিজ্ঞানীরা তাদের এ সংক্রান্ত গবেষণায় বার বার সামঞ্জস্যহীন ফলাফল পেয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এর বাস্তব প্রমাণ শনাক্ত করা যায়নি। তবে ৯০ দশকের দুইটি সামঞ্জস্যহীন ফলাফলই ছায়া মহাবিশ্ব সংক্রান্ত গবেষণার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ওই গবেষণায় পদার্থবিদরা পরমাণুর নিউক্লিয়াসে থাকা নিউট্রন কণা নিউক্লিয়াস থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর তা ভেঙ্গে প্রোটনে পরিণত হতে কত সময় লাগে তা পরিমাপ করছিলেন। দুইটি ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষায় তারা দেখেছেন, ধারণা অনুযায়ী নিউট্রনগুলো একেবারে একই হারে ক্ষয় হয়ে প্রোটনে পরিণত হচ্ছে না, ভিন্ন দুই হারে ভাঙছে।
দুইটি পরীক্ষার একটিতে দেখা গেছে মুক্ত নিউট্রনগুলো চৌম্বক ক্ষেত্রে আটকে পড়ছে এবং পরীক্ষাগারের বোতলের ট্র্যাপস-এ দলবদ্ধ হয়ে আছে। আরেক পরীক্ষায় পারমাণবিক চুল্লি প্রবাহ থেকে প্রোটন কণার উত্তরকালীন উপস্থিতির মধ্য দিয়ে নিউট্রনগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। চুল্লি প্রবাহে বিস্ফোরিত এসব কণা গড়ে ১৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড করে সচল ছিল।
যা বোতল ট্র্যাপস-এ থাকা নিউট্রন কণার সচলাবস্থার চেয়ে ৯ সেকেন্ড বেশি। এক্ষেত্রে তারতম্য খুব সামান্য মনে হলেও তা বিজ্ঞানীদের সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ছায়া মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার পেছনে বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা রয়েছে। ছায়া বিশ্বের অস্তিত্ব আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের আইসোটোপ লিথিয়াম ৭-এর ঘাটতিকেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।