ইংরেজি ও গণিত নিয়ে ভীতি স্কুলে স্কুলে। কী শিক্ষার্থী কী শিক্ষক—বেশির ভাগই থাকেন উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেল ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকায়। অলস সময়ে ইংরেজি ও গণিত শিক্ষকের কাছে ক্লাস করছেন সহকর্মীরা। তাতে ভীতি-উদ্বেগ কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন তাঁরা। এ চিত্র ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের।
এ গল্প জানা গেল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি রফিকুজ্জামান লায়েকের মুখে। তিনি বলছিলেন, ‘আমি একজন শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে সারদা সুন্দরী স্কুলে যাই। সেখানে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি বেশ কয়েকজন শিক্ষক একযোগে উঠে যাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলাম, ক্লাস নিতে যাচ্ছেন কি না? জবাবে তাঁরা বললেন, না, আমরা ইংরেজি ও গণিত ক্লাসে যাচ্ছি। আমি তো হতবাক! শিক্ষক হয়ে আবার ইংরেজি ও গণিত ক্লাস করতে যাচ্ছেন?’
পরে লায়েক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন মনিরুল জানান, বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক রেজাউল করিম ও গণিত শিক্ষক আজমল হোসেনের কাছে অন্য শিক্ষকরা ইংরেজি ও গণিত শেখেন। তাই তাঁরা ক্লাসে যাওয়ার কথা বলেছেন।
বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের অনুপ্রেরণায় মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০ জন সহকর্মী একে অপরের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছি। খুব ভালো লাগছে। অলস সময় না কাটিয়ে আমরা প্রত্যেকের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখতে পারছি।’