বাংলাদেশি শ্রমিকরা বিদেশে গিয়ে একেবারে ইংরেজি বলতে পারে না। বোবাদের সঙ্গে যেভাবে কথা বলা হয় ঠিক তেমনি বিদেশিরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে। এতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মিয়েনমারের শ্রমিকরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের থেকে ইংরেজিতে বেশ পারদর্শী। বিদেশে পাঠানোর আগে ইংরেজিতে কথা বলার মতো একটা সম্যক বা সাধারণ ধারণা দেওয়ার ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, বর্তমান বিশ্বে ইংরেজি ভাষা তার আপন মহিমায় এমন একটি স্তরে উন্নীত যা কেবল আর ইংরেজিদের ভাষা বলা চলে না। ইউরোপ আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীর সকল মহাদেশে এই ভাষা আজ আপন মহিমায় সুপ্রতিষ্ঠিত। উপমহাদেশের মতো বাংলাদেশেও ইংরেজি একটি প্রয়োজনীয় ভাষারূপে দীর্ঘকাল যাবৎ ব্যবহৃত ও স্বীকৃত। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হলেও ইংরেজি ভাষার প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই। এমতাবস্থায় ইংরেজি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপের বিষয়টি যর্থাথই প্রণিধানযোগ্য।
স্বস্তির বিষয় এই যে, শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যে কতিপয় প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষাক্রমের আধুনিকায়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার মতো ইংরেজি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলে জাতি সামগ্রিকভাবেই লাভবান হবে বলেই আমরা মনে করি। তাই চাকুরি নিয়ে বিদেশে যাবার আগে প্রাথমিক ইংরেজি শিক্ষার পারদর্শী হবার ক্ষেত্রে কোনোরূপ অবহেলা করা ঠিক হবে না। এতে বিদেশে চাকুরির নিশ্চয়তার বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা বেশি।
লেখক : মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা।