জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলি কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মানুষ আশরাফুল মাকলুকাত বা আল্লার সর্বশ্রেষ্ঠ জীব আর এই মানুষের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো ‘রাষ্ট্র’ যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি। এটি বঙ্গবন্ধুর জন্য ছদকায়ে জারিয়া হিসেবে থাকবে যতো দিন বাংলাদেশ থাকবে।
তিনি আরো বলে, বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিকতার একটি বিশ্ব স্বীকৃতি হলো জুলিও কুরি শান্তি পদক, যার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব পরিমন্ডলে বিশ্ব বন্ধু হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন রাষ্ট্রের রূপকার হিসেবে ছদকায়ে জারিয়ার অধিকারী একইভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আলেম সমাজের শত বছরের প্রাণের দাবি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১ হাজার ৪০০ মাদরাসার আলেম ওলামাদের দোয়া ছদকায়ে জারিয়া হিসেবে পাবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, ট্রেজারার এস এম এহসান কবীর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও কর্মচারী পরিষদের সভাপতি। সভা পরিচালনা করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।