বিয়ের প্রলোভনে ফেলে চট্টগ্রাম ভেটারিনারি এ্যান্ড এ্যানিমেল সায়েন্সস বিশ্বিবিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। এমন অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া শিলা নামের ওই ছাত্রী লিখিত বক্তব্যে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
ওই ছাত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হামিদ মোহাম্মদ মোহাইম্মীন হোসেন চঞ্চল জানান, এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
লিখিত বক্তব্যে সুমাইয়া শিলা দাবি করেন, শুধু আমি নই, আমার বড় বোন আদুরীও ওই চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হয়ে মারা গেছেন। যেটি আমরা জানতে পারি মাত্র কয়েক দিন আগে বাড়ির বইপত্র গোছানোর সময় পাওয়া একটি ডায়েরি থেকে।
আমার বোন আদুরী খাতুনের প্রেমিক চঞ্চলের হাতে লেখা একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি থেকে জানতে পারি, আমার বোনের সঙ্গে চেয়ারম্যান চঞ্চলের প্রেমের সম্পর্ক হয় ২০১০ সালে। চঞ্চল তখন দেবোত্তর ইউনিয়নের ইশারত আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার বোন একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। আমাদের বাড়িতে চঞ্চলের যাতায়াতের সুবাদে আদুরীর সঙ্গে তার প্রেম হয়। আমার বোনকে বিয়ে করবে আশ্বাস দিয়ে ২০১২ সালে বেড়াতে নিয়ে যায় পাবনা শহরে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
সেখানে অজ্ঞাত এক বাড়িতে তার বোনকে চঞ্চল ধর্ষণ করে। বোন বাড়িতে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। বোনের মৃত্যুকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেই। কারণ তখন আমরা বিষয়টি জানতাম না। বোন মারা যাওয়ার পর চঞ্চল সান্ত¡না দিতে আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এভাবেই সামাজিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আমরাও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেই। এক পর্যায়ে চঞ্চল আমাকে বলেন, আদুরীকে তার বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু মারা যাওয়ার কারণে সেটি যেহেতু আর সম্ভব হয়নি।