কড়া নিরাপত্তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান সফলভাবে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল নয়টা ৪০ মিনিটের দিকে গাড়ি বহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে প্রকল্পটিতে কর্মরতরা গাড়ি বহরকে স্বাগত জানান।
রূপপুর পারমাণবিকের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাশিয়া থেকে তৃতীয় চালানের ইউরেনিয়াম বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছে। প্রথম ও দ্বিতীয় চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আমদানিকৃত পারমাণবিক জ্বালানি সড়ক পথে রূপপুরে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও চারটি চালান দেশে আসবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
জানা গেছে, রূপপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তিন বছর বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। একবার জ্বালানি লোডের পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) ও পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পর পর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট হবে না। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতেই প্রথম চালানের জ্বালানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে না হতেই তৃতীয় চালানের জ্বালানি রাশিয়া পাঠিয়ে দিয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ও ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে।
দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বড় প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।