টঙ্গীর তুরাগতীরে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার টঙ্গী স্টেশন রোড ও কামারপাড়াসহ ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় মুসল্লিদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লিরা বয়ান শুনে ও ইবাদত করে সময় কাটাচ্ছেন।
শুক্রবার ভোর থেকে মুসল্লিদের ঢল আরও বেশি হয়। ট্রেন, নৌকা, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা মাঠে সমবেত হন। জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করেন।
পুরো ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে গেছে। মুসল্লিদের ইজতেমা মাঠের বাইরে, রাস্তা, ফুটপাতে ও খোলা জায়গায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে। অবস্থান করার জন্য পলিথিন-ত্রিপল দিয়ে ছাউনি তৈরি করেছেন তারা।
জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানে শুক্রবার দেশের সর্ববৃহৎ জুমআর জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫৫ লাখের বেশি মুসল্লি এক জামাতে শরিক হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন।
ইজতেমা মাঠের মুরব্বি প্রকৌশলী আব্দুন নূর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পরামর্শের মাধ্যমে মাঠের সব কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের অনুসারী মুসলমানরা অংশ নিয়েছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করছে জেলা প্রশাসন। বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল নির্মাণে টিন সরবরাহ, বিভিন্ন দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের স্থান নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে বিভিন্ন কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ইজতেমার চারপাশ এবং বাইরেও সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য সাড়ে ১০ হাজার পুলিশ, র্যাবসহ নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন। যেকোনো প্রকার নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে।
রোববার দুপুরের আগেই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি।