সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়াতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের একটি বৈঠক শেষে এমন ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, ঢাবি অধিভুক্ত কলেজের ২০১৭-১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১ সেশনের সকলের এক দফা দাবি, বিলম্বিত প্রকাশের জন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিন বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চাই। এই এক দফা দাবিতে আমরা অনড় ও অটুট। এই দাবি পূরণের আমরা পিছিয়ে যাবো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতা এবং অনিয়মের কারণে তারা তিন মাসের মধ্যে ফল দিতে পারেনি, তাদের ব্যর্থতা কেনো আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে। তারা টানা দুই বছর প্রমোশন দিয়েছে। সেখানে আমরা কেনো ভুক্তভোগী হবো? এবারের মতো আমাদের দাবি মেনে নেয়া হোক। তাই দাবি আদায়ের জন্য কলেজকেন্দ্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।
তারা আরো বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমরা আবার ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ম্যামের সঙ্গে দেখা করবো। যদি আগামীকাল আমাদের দাবি আদায়ে কোনো পজেটিভ নোটিশ না আসে, আমরা আমাদের অভিভাবকের কাছে আবার আসব এবং আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়বো।
আন্দোলনরত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ জানান, আমরা যেহেতু পরবর্তী বর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। তাই সামান্য সিজিপিএ বা জিপিএ শর্তের জন্য বিগত বর্ষের সব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে, তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন আমাদের সবারই দাবি।
এদিকে ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি নিয়ে এসেছিলো। তাদের কলেজে ফিরে গিয়ে স্ব-স্ব অধ্যক্ষদের কাছে আবেদন দিতে বলেছি এবং সেই আবেদনগুলো নিয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবারো অনুরোধ করবো।
এর আগে বেলা ১২ টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে অধিভুক্ত কলেজের একাধিক শিক্ষকের অনুরোধে দশ সদস্য বিশিষ্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এরই এক পর্যায়ে নিউমার্কেট এবং লালবাগ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আন্দোনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পরে শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের ফটকের সামনে অবস্থান নিতে গেলে সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। পরে কলেজের পাশের রাস্তায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।