রাজধানীর ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন নিজ ঘরে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে নিজের বাসায় খুন হন তিনি। নিহত মাহফুজা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামার স্ত্রী। সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গামা।
ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার এ কথা জানান। তিনি বলেন, এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের বাসায় থাকতেন মাহফুজা চৌধুরী। সেখানেই খুন হয়েছেন তিনি। তাঁর বাসার দুই গৃহকর্মী পালিয়েছে। টাকা ও অলংকার নিয়ে গেছে তারা। পুলিশ খুনি হিসেবে প্রাথমিকভাবে তাদেরই সন্দেহ করছে।
উপকমিশনার মারুফ আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
যে দুজন গৃহকর্মীকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের মাস দুয়েক আগে কিশোরগঞ্জ ও শরীয়তপুর থেকে আনা হয়েছিল বলে জানান ইসমত কাদির গামা।
“এই বিল্ডিংয়ের এক মহিলার মাধ্যমে তাদের এনেছিল মাহফুজা।”
নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ওই বাসায় তিনজন গৃহকর্মী কাজ করতেন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব নারীটি বাসায় আছেন। বাকি দুইজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। এদের একজনের বয়স ৩০ এবং অন্যজনের বয়স ৩৫ বছরের মতো।
মাহফুজা চৌধুরীকে ১৬তলায় তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “তার মুখে বালিশচাপা ছিল। বিছানায় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
“ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর দুই গৃহপরিচারিকা আলমারি থেকে মূল্যবান কিছু নিয়ে গেছে।”
ইসমত কাদির গামা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১৬ তলার দরজা দিয়ে বাসায় ঢুকতে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে বন্ধ। পরে নিচে নেমে অনেক ডাকাডাকির পর বৃদ্ধা গৃহকর্মী দরজা খুলে দেন।
তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি আতিকুর বলেন, “তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”
গামা-মাহফুজা দম্পতির দুই ছেলে। তাদের একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং অপরজন ব্যাংকার।