ইবিতে সাপ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝোপ ঝাড় অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এসব ঝোপ ঝাড়ের কারণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষত আবাসিক হল এলাকাগুলোতে সাপের উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত সোমবারও শেখ হাসিনা হলের সামনে থেকে একটি বিষধর গোখরা সাপকে দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে মেরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন চরম আতঙ্কে রয়েছে তেমনি যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা শঙ্কা বাড়ছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেই সাপে কাটার কোন নিরোধক (অ্যান্টি ভেনম) বা কোন প্রকার ঔষধ। তাছাড়া সাপে কাটলে তেমন চিকিৎসাও দেওয়া হয় না ইবির চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে। এ ঘটনায় বিপাকে রয়েছে ক্যাম্পাসে থাকা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী। দীর্ঘ দিন ধরে ইবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসলেও আজ পর্যন্ত সাপে কামড়ানোর কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে।

সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার দুই পাশ দিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠেছে জঙ্গল। ক্রিকেট মাঠের সামনের খোলা জায়গা, ছাত্রীদের হল সংলগ্ন পেয়ারা বাগান, মফিজ লেক, প্যারাডাইস রোডের দুই ধার, কেন্দ্রীয় মসজিদের চারদিক, লালন শাহ হলের সামনে, বঙ্গবন্ধু হলের পিছনে এবং ইবি থানার আশপাশেও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। এসব জায়গা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা হলেও যথাযথ পরিষ্কারের অভাবে দিনে দিনে জঙ্গল বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত এসব ঝোপ ঝাড় থেকে বের হচ্ছে সাপ। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সাপ আতঙ্কে চলাফেরা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ক্যাম্পাসের ইবি থানার এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাপে কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ‘অতিরিক্ত ঝোপ-ঝাড়ের কারণে ক্যাম্পাসে হাঁটতে বের হলে আমরা আতঙ্কে থাকি। নিরাপদে চলাচলের জন্য ক্যাম্পাসের প্রতিটি এলাকা দ্রুত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে সাপে কাটা রোগীর কোন প্রকার চিকিৎসা নেই। এই চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যে জনবল প্রয়োজন তা আমাদের এখানে নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা কাজ করতে চায়না। ফলে বাহির থেকে শ্রমিক নিয়ে আলাদা পারিশ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে তারা দায়সারা ভাবে কাজ করে চলে যায়। ফলে জঙ্গল জঙ্গলই থেকে যায়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্টার মুহ. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ক্যাম্পাস পরিষ্কারের জন্য কাজ চলছে। বর্ষাকাল হওয়ায় একদিক থেকে পরিষ্কার করতেই অন্যদিকে পুনরায় বড় হয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত আছি। এ ব্যাপারে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025930404663086