ইবির ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, আন্দোলনের পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর এবং র‍্যাগিংয়ের দায়ে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সবাইকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। 

 

বুধবার (৪ অক্টোবর) প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার সাহেদ হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে দুই ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


আরো পড়ুন : ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আরো পড়ুন : ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, ইবির প্রধান ফটকে তালা


এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা আন্দলোনের পর একদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। 

 

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মেডিকেল ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ, মিজানু রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে - dainik shiksha অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে শিক্ষকদের বেতন সভাপতির একক স্বাক্ষরে জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ - dainik shiksha জোর করে পদত্যাগ, ভালো নেই স্ট্রোক করা সেই অধ্যক্ষ বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর - dainik shiksha বরিশালে থানায় শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুর হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা - dainik shiksha হাজিরা মেশিন কাজে আসেনি ১৬৯ বিদ্যালয়ে, গচ্চা ৩৭ লাখ টাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল - dainik shiksha পদ্মার ভাঙনে বিলীনের শঙ্কায় দুই স্কুল কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003169059753418