স্থানীয় কয়েকজন যুবক কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে দুইজনের নামসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় মামলা করেছেন।
এ মামলায় ইতোমধ্যে ঝন্টু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শৈলকুপা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১টায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নাম ঝন্টু ওরফে জাহাঙ্গীর হোসেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন বলেন, গতকালের ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঘটনাটি শৈলকুপা থানার আওতাধীন হওয়ায় রাতেই রেজিস্ট্রারই এইচ এম আলী হাসান শৈলকুপা থানায় গিয়ে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গেটগুলোয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বিকেলে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জিসাদ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত বিকেলে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখ পাড়া বাজারে বাইকে তেল আনতে গেলে স্থানীয়দের দ্বারা হামলার শিকার হয়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, দুপুরে আমরা বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের লেকে ছিলাম। সেখানে বহিরাগত স্থানীয় দুজন যুবক এসে বান্ধবীদের সহ ভিডিও ধারণ করে। তাদের ভিডিও ডিলিট করতে বল্লে আমাদের ওপর তেড়ে আসে তারা। এসময় তাদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডা হলে তারা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরে বিকেলে আমরা শেখ পাড়ায় বাইকে তেল নিতে গেলে স্থানীয় আকাশসহ ৪/৫জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
এ ঘটনার বিচারের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ইবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীর যথাযথ বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা।