বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক ১৮ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এদের মধ্যে ১৭ জনকে সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে অপরজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে শিক্ষার্থীদের নিতে সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে থানায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছয় শিক্ষক।
এসময় শিক্ষকদের জিম্মায় ১৫ শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে ছেড়ে দেওয়া হয় আরও দুজনকে। এসময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হওয়ার অঙ্গীকার নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল আলিম শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, সহিংসতার আশঙ্কা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে রাতেই ২৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া। পরে অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে অপরজনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে বিভিন্ন দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। এসময় চৌড়হাস থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত বাস টার্নিমালে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে তারা আর সংঘবদ্ধ হতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ছাড়ানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়।