বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পরপরই পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে ছাত্রদলের একাংশ। এ কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
এর আগে বুধবার (১৬ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ৩১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি গঠনের পরপরই কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নবগঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ। পরে বৃহস্পতিবার এই কমিটির পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে কমিটি বাতিলের দাবিতে পারভেজের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের একাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, কমিটিতে পদপ্রাপ্তদের মধ্যে সিংহভাগকে কোনদিন দলীয় কোন প্রোগ্রামে পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করেই তাদের পদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দলের কারাবরণকারী ও ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশেষ সমিতির দ্বারা গঠিত এই কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ কমিটি বাতিল না করলে আমরা এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবো।
নেতাদের অভিযোগ, কমিটির আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ ২০০৮ সালে এক ছাত্রীর সাতগে অশোভন আচরণের দায়ে বিভাগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এছাড়া সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন বিবাহিত ও অছাত্র। ছাত্রদলের নীতিমালা অনুযায়ী বিবাহিতদের পদে আসার কোন সুযোগ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে শাহেদ আহম্মেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বান্ধবী সম্পর্কিত ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আর আমি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের কমিটিতেও পদ পেয়েছিলাম। কেন্দ্র খোঁজ-খবর নিয়েই কমিটি দিয়েছে।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, সদস্য-সচিবের বিয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগ সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বশেষ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ ইবি শাখা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে আইন বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ওমর ফারুককে সভাপতি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাশেদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দুই বছরের জন্য কমিটি গঠিত হলেও ১১ বছর বহাল ছিল এ কমিটি।