ইবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল হককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার একটি উপ-কমিটিতে সম্পাদকের বাবাব নাম না রাখার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। রোববার (১৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল হক। এ সময় সেখানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ছিলেন। তার পাশেই বাবা তোবারক হোসেন বাদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ছিলেন।

  

এ সময় জয় এমদাদের কাছে তার বাবাকে পরীক্ষা কমিটিতে না রাখার কারণ জানতে চান। জবাবে এমদাদুল বলেন, এটি প্রশাসনের কাজ। এর মধ্যে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের প্রয়োজন মনে করেছে, তাদের সিলেক্ট করেছে। এতে আমার কোনো হাত ছিল না। 

এর জেরে ছাত্রলীগ সম্পাদকের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জয়ের অনুসারীরা তাকে মারতে উদ্যত হন। ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন, হাফিজ, বাঁধনসহ ১০/১৫ জন কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গাড়িতে থাকা অন্য কর্মকর্তারাও নেমে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতোই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে।’ এ সময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, ‘সবকিছু এত সস্তা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনের একটা অংশ। তারা তাদের রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী চলবে। তোমরা ছাত্রলীগ করো, তোমরা তোমাদের মতোই চলো।’

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ টি এম এমদাদুল হক বলেন, আমি তাদের আচরণে মানসিকভাবে আহত ও মনক্ষুণ্ণ হয়েছি। তাদের এ অযাচিত আচরণ কোনোভাবেই সমর্থিত না। তাদের এহেন আচরণ চলতে থাকলে ছাত্রলীগেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, বিষয়টি আমাদের খুব মর্মাহত করেছে। সমিতির সভাপতিকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি। তাকে দেখলে যেকোনো কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে যান। তার সঙ্গে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সোমবার আমরা সভাপতির সাথে বসবো। তিনি যা বলবেন, আমরা পরবর্তীতে তাই করবো।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘সে (এমদাদ) আমার কাকু। আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার-স্যাপার থাকে। কাকুর সঙ্গে একটা ইস্যু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তিনি গাড়িতে চলে গেলেন। আর আমরা ঘুরতে চলে গেলাম। সকালে দেখবা তার রুমে বসে একসাথে চা খাচ্ছি। সাংবাদিকদের কাছে যাওয়ার মত এমন কিছুই ঘটেনি।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কমপ্লেইন বক্স বন্ধ - dainik shiksha গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কমপ্লেইন বক্স বন্ধ পদত্যাগে বাধ্য করা অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ফেরালেন শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য করা অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ফেরালেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম দামে বিটিসিএলের ইন্টারনেট দেয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম দামে বিটিসিএলের ইন্টারনেট দেয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বাউবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বাউবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হলগুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করে ছাড়বো : রাবি উপাচার্য - dainik shiksha হলগুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করে ছাড়বো : রাবি উপাচার্য কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025911331176758