ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে রাস্তা অবরোধ করে এই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই অধ্যাপক। গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া হাউজিং আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি ও রেজিস্ট্রার বরবার পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষককে একা পেয়ে এভাবে মারধর করেছেন, যা একটি জঘন্যতম ঘটনা। আমরা অনতিবিলম্বে ব্যাংক কর্মকর্তার গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতো হাউজিং ডি-ব্লক এবং সি-ব্লকের মাঝামাঝি রাস্তায় হাঁটছিলাম। এমতাবস্থায় সি ব্লকের কুষ্টিয়া কৃষি কলেজের সামনে এলে হাউজিং ডি ব্লকের বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ দেখামাত্রই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেন। বর্তমানে আমি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছি। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ভুক্তভোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাড়ি নির্মাণসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সকালে হাঁটার সময় আমাকে একা পেয়ে মারধর করেছেন। আমি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও প্রক্টরিয়াল বডিকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী মোস্তাফিজকে এমন মারধরের ঘটনায় বিভাগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি।’