ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) থাপ্পড় দিয়ে এক শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর বিচার চেয়ে গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী এনামুল হক ইমন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ইবি ছাত্রলীগের কর্মী মিনহাজুল হক রুমন।
তিনি ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ইমন। তখন বদরুল আমিন পিয়াস ভুক্তভোগীর পথ রোধ করে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। সেখানে পিয়াসের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে ভুক্তভোগী চলে যেতে শুরু করেন। এরই মধ্যে মিনহাজুল হক রুমন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ইমনের ওপর হামলা করেন। এ সময় তার বাম কানে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলেন। এরপরেও অসুস্থতা অনুভব করায় ইমনকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ দেখাতে বলেন চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম। পরে কুষ্টিয়ায় নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. এম এ মান্নানকে দেখালে ইমনের কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও অস্ত্রপচার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন বলেন, ‘ওখানে আমার কোনো দোষ ছিল না। হঠাৎ রুমন ভাই এসে আমাকে মারধর করেন। এতে আমার কানের পর্দা ফেটে যায়। আমি আমার অপারেশনের পুরো খরচসহ কর্তৃপক্ষের কাছে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মিনহাজুল হক রুমনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘সে (মিনহাজুল হক রুমন) আমাদের কর্মী না। লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। পরবর্তী প্রক্টরিয়াল বডির মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’