বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুডজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ যৌন হয়রানি ও নানা হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে। ফারুক মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১১ মে এক ছাত্রী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তথ্যপ্রমাণসহ সাইবার বুলিংয়ের প্রতিকার ও শাস্তির দাবি করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পাঁচ সপ্তাহ পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। বিচারসহ ছয় দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে রোববার মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুত শাস্তি না হলে ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিচারে প্রশাসনের টালবাহানা বন্ধ করা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সাইবার বুলিং রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ, ক্যাম্পাসে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করাসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শনিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। আশা করছি, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন বলেন, আমি মজা করার জন্য এসব করতাম। আমার ভুল হয়েছে। এত কিছু হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। আমি ক্ষমা চাইছি।