ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে নওগাঁর মহাদেবপুরে মারুফ হাসান (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসানের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবারের এ ঘটনার পর আহত ওই শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন।
আহত শিক্ষার্থী মারুফ উপজেলার জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মারুফের অভিযোগ, বুধবার সকালে ওই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসান তাকে তার বাড়ি থেকে স্কুলে ডেকে নেন। সেখানে তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। তার দুই হাতে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ পড়ে যায়। তার চিৎকারে তার বাবা স্কুলে ছুটে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানালে সভাপতি স্টিলের রড বের করে তার বাবাকেও পেটানোর হুমকি দেন। ইভটিজিংয়ের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বলে দাবি করেছে মারুফ।
মারুফের বাবা জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোন মেয়েকে তার ছেলে ইভটিজিং করেছে তা জানতে চাইলেও সভাপতি তা বলতে পারেননি, ওই মেয়েকেও হাজির করতে পারেননি। এই ঘটনার পর এলাকার লোকজন ও অভিভাবকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু সভাপতির লোকেরা তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এমনকি তারা আহত মারুফকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনতেও বাধা দেয়। রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসান স্কুলছাত্রকে লাঠি দিয়ে পেটানোর কথা স্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অপরাধীর বিচার নিজের হাতেই করেছি। স্কুলের সব মেয়েকেই মারুফ ইভটিজিং করে। তার ভাতিজিও রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি কেনো নিজেই আইন হাতে তুলে নিলেন জানাতে চাইলে সভাপতি দাবি করেন, তিনি ঠিকই করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনার দিন স্কুলে উপস্থিত ছিলাম না। তবে ইভটিজিংয়ের বিষয়টি আমি জানি না। তবে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েও তিনি ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।