ইভিএম পরীক্ষা করেছি, আইনস্টাইন এলেও ফল পরিবর্তন সম্ভব নয় : সিইসি

পাবনা প্রতিনিধি |

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ফল পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ভোটের ১০ মিনিট পরে ইভিএম-এ ফল বিপর্যয় ঘটানো হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি ইভিএম পরীক্ষা করে দেখেছি, আইনস্টাইন (বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন) এলেও ফল পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’

আজ রোববার দুপুরে পাবনায় ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার: চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন করতেই হবে। আমরা অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তবে সব বিষয় ইসির নিয়ন্ত্রণে নয়। কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের। নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করে, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নিজেদের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়া থাকে, সেটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা নির্বাচন করব সংবিধানের বিধান অনুযায়ী। যেটা বর্তমানে বহাল আছে। সেভাবেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। একইভাবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করবে।’

ইভিএম বিষয়ে সিইসি বলেন, যাঁরা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা মেশিনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশে আনা এই অত্যাধুনিক মেশিনে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত ভোট গ্রহণ সম্ভব।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ (এসসিডিইসিএস) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত কর্মশালা উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার দেবনাথ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার আঞ্চলিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054371356964111