দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকেই সারাদেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। আর তা শেষ হবে আগামী শুক্রবার।
ইহুদিদের বার্ষিক পাসওভার উপলক্ষে ছুটির দিনগুলোতে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। আর সে কারণেই এই উৎসবের কয়েকদিনে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। করোনার বিস্তার ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। লোকজনকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী লোকজনকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির মাধ্যমে তার আশেপাশে থাকা লোকজন খুব সহজেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সে কারণেই বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান যে, মঙ্গলবার থেকেই ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
এছাড়া ইসরায়েলের লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে। মূলত পাসওভারের উৎসব উপলক্ষে লোকজন তাদের পরিবার নিয়ে বের হয়।
এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয় যা 'সেদের' নামে পরিচিত। কিন্তু চলতি বছর করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় এই উৎসবে আগের মতো ঘোরাঘুরি করার অনুমতি দিচ্ছে না ইসরায়েল সরকার। আপাতত বাড়িতে বসেই উৎসব পালন করতে হবে সেখানকার মানুষকে।
ইসরায়েলে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেনে ৮,৯০৪ জন, মারা হেছেন ৫৭ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮৫।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তাণ্ডবে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। এরইমধ্যে সারাবিশ্বে মৃত্যেুর সংখ্যা ৭০ হাজার ৬১১ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৮ জনে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৯০ জনে।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫১ এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ৬২০ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৯৭৭ জন।
এদিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৫২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত দু'সপ্তাহে এটাই সবচেয়ে কম মৃত্যু।
অপরদিকে করোনায় স্পেনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০ হাজার ৪৩৭ জন।