ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চলছে কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হয় ২০ ও ২১ আগস্ট। সরকার ২৯ সেপ্টেম্বর ইবির নতুন উপাচার্য হিসেবে ঢাবির অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামকে নিয়োগ দিলেও এখনও কোষাধ্যক্ষ পদে কাউকে নিয়োগ দেয়নি। কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য রয়েছে। পদটি শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও নানা উন্নয়নমূলক কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

প্রকৌশল অফিস সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে দশটি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলমান। কাজগুলো বাস্তবায়নে নয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান প্রকল্পে প্রায় আটশত নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ভিজিলেন্ট টিমের প্রধান হিসেবে তার সুপারিশ ছাড়া কোন বিল হয় না। চার মাস যাবৎ ঠিকাদাররা বিল না পাওয়ায় তারা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে চলমান উন্নয়নমূলক কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আবাসিক হল ও ভবন সংস্কার কাজে ইতোমধ্যে ১০টি লোকাল টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির প্রধানের অনুমোদন ছাড়া এসব কাজ শুরু হয় না। আর এ কমিটির প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হলেন সব আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রধান। তিনি না থাকায় মেগা প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এসব কাজ করার মোক্ষম সময় ছিল এখনই। কিন্তু তা ব্যাহত হচ্ছে।

কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে নিজ ক্ষমতাবলে কিছু কিছু আর্থিক সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তিনি এসব কাজ করছেন বলে রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় আর্থিক কিছু কিছু বিলে স্বাক্ষর-অনুমোদন দিচ্ছেন উপাচার্য স্যার। কোষাধ্যক্ষ সব আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রধান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে জরুরি ভিত্তিতে এ পদে নিয়োগ দরকার।

কোষাধ্যক্ষ পদ পেতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের ও বাইরের কয়েকজন অধ্যাপক। স্থানীয় নেতাসহ ঢাকাতেও তারা নিয়মিত তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022311210632324