ঈদের আগেই বিশেষ পদ্ধতিতে নতুন এমপিওভুক্ত ২ হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন-বোনাস ছাড় করার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। সোমবার (২৭ এপ্রিল) দৈনিক শিক্ষাডটকমে ইমেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি ও মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম এ দাবি জানান।
জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন কোড নম্বর দেয়া হবে। কোড নম্বর পেলেই আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রচলিত নিয়মে মানে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, পবিত্র রমজান মাস চলছে। করোনার প্রভাবে শিক্ষকরা গৃহবন্দি। তাদের আয়ের সব রাস্তা বন্ধ। সামনে আসছে ঈদুল ফিতর। চলমান অনলাইন পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে বেশ সময় লাগবে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।
গত ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর পর থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার শুরু। শিক্ষক সমাজের প্রশ্ন, ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড দিতে কত দিন লাগে? তাহলে ডিজিটাল পদ্ধতি কেন?
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে হবে। করোনার প্রভাবে নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম আর্থিক কষ্টে দিন যাপন করছেন।
এমপিওভুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক কোড দেয়ার পর আবার জিও জারি এবং তার পর অনলাইনে আবেদন শুরু হলে কতদিন লাগবে তা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। এমপিও বিকেন্দ্রীকরণ করা হলেও শিক্ষকদের হয়রানি খুব যে কমেছে এমন নয়। উপজেলা, জেলা ও উপ-পরিচালক এসব ধাপ অতিক্রম করতে শিক্ষকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
তাই, ভোগান্তি ছাড়াই আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই ঈদ বোনাসসহ নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ছাড় করাতে প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষক নেতারা।