দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : চৈত্রের শেষ সপ্তাহে এসে দিন কয়েকের জন্য তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি মিলতে পারে, তবে তা খুব বেশি স্থায়ী হবে না বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, রবি ও সোমবার তাপমাত্রা একটু কমতে পারে; তবে ৯ এপ্রিল থেকে ফের বাড়বে। যদিও ঢাকায় ৭-৮ তারিখের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কোন কোন জায়গায় হবে, সেটা এখন বলা সম্ভব না।
দেশে ১১ এপ্রিল রোজার ঈদ হতে পারে। তখনও গরমের দাপট থাকতে পfরে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যা ধারণা করছি, তাতে বলা যায়, ঈদের সময় এখন যেমন আছে তাপমাত্রা তেমনই থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম।
গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
গত এক দিনে সিলেটে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, দেশের আর কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে; সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকবে, ফলে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।
সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে এ মাসটিতে প্রকৃতি ‘পরীক্ষা নেবে মানুষের’।