গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাদরাসা ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ওই মাদরাসার এক ছাত্র ও শিক্ষককে মারধর করেছে বখাটেরা। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সাতকুড়া সুফিনগর দাখিল মাদরাসায় ঘটা এ ঘটনায় পুলিশ তিন বখাটেকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো উপজেলার কোটবাড়ি এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন, একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে পায়েল মিয়া ও পাশের পাইকপাড়া এলাকার আওয়াল হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো ওই মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী মাদরাসার টিউবওয়েলে পানি খেতে যায়। এ সময় চারজন বখাটে ওই মাদরাসার সীমানার ভেতরে ঢুকে ওই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্র আমিনুর ইসলাম তাদের বাধা দিলে তাকে কয়েকটি থাপ্পড় দেয় বখাটেরা। মাদরাসার শিক্ষক আবদুল হক ওই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও ছাত্রকে থাপ্পড়ের প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধাওয়া দিয়ে শাকিব, পায়েল ও আশিকুর নামের তিন বখাটেকে আটক করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। এ সময় আরেক বখাটে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। দুপুরে আটক ব্যক্তিদের কালিয়াকৈর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
মাদরাসার সুপার আবদুল মালেক আমজাদি জানান, ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মাদরাসার একজন ছাত্র ও এক শিক্ষককে মারধর করেছে বহিরাগত ওই বখাটেরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
কালিয়াকৈর থানাধীন ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।