হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ছাত্রী উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক কলেজ অধ্যক্ষর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। দিপন আহমেদ মুন্না নামের এক বহিরাগত ও তার সহযোগীরা এই হামলা চালায় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী, কলেজ অধ্যক্ষ ও আরও এক ব্যক্তি আহত হন। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় কলেজ শিক্ষার্থীরা দিপন আহমেদ মুন্নার এক সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, বখাটে দিপন ও তার সহযোগীদের হামলায় নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর অধ্যক্ষসহ দুই জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো বহিরাগত বখাটে দিপন আহমেদ মুন্না। এ নিয়ে ওই ছাত্রী অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদের কাছে অভিযোগ দেন। আজ মুন্নাকে কলেজে ডেকে এনে সতর্ক করেন অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ। এসময় অধ্যক্ষ আজাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে মুন্না। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের ওপর হামলা করে সে ও তার সহযোগীরা। এতে ওই ছাত্রী, কলেজ অধ্যক্ষ ও আরও এক ব্যক্তি আহত হন। এসময় কলেজ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন মুন্নার সহযোগী হুমায়ুন কবিরকে আটক করে। তবে এর আগেই মুন্না মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর হামলার প্রতিবাদে ওই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুন্নাসহ বাকি বখাটেদের আটকের আল্টিমেটাম দেন তারা।
ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে এক জনকে আটক করেছে। ঘটনার মূলহোতা মুন্নাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।