একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ফরম অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সিংগাইর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মো. নুরুদ্দিনের কাছে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপ-পরিচালক (সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি) শ ম সাইফুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠির আলোকে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
এতে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজ উদ-দৌলা জানান।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, প্রিন্সিপাল এ ধরনের অপকর্ম আগেও করেছেন।
তবে অফিস সহকারীর ওপর দোষ চাপিয়ে তিনি রেহাই পান কিনা সেটা দেখার বিষয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন ও উপপরিচালক (কলেজ) কাজী নূরে আলম সিদ্দিকী গতকাল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
‘উপবৃত্তির ফরম সংগ্রহে গুনতে হয় টাকা, সিংগাইর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম’ শিরোনামে মঙ্গলবার একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রফেসর মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তদন্ত চলমান। রিপোর্ট অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া কিছু টাকা এরই মধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং বাকি টাকা দেওয়া হবে বলে তদন্ত টিমের কাছে স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ নুরুদ্দিন।