আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পূর্ত ভবন অডিটোরিয়ামে ‘রাষ্ট্র সংস্কার: প্রেক্ষিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বৈষম্যহীন, জনবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক সিভিল সার্ভিস গঠনে আরও কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হচ্ছে সব ক্যাডারের মধ্যে সমতা আনা, পদ আপগ্রেডেশন, পদোন্নতিতে সমান সুযোগ, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস, বিভিন্ন ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট এম এ আজিজ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আহমেদ ইকবাল চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক সালেকুর রহমান মাসুম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান এবং সম্মিলিত পেশাজীবী সংহতির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মির্জা নাজমুল হুদা।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার গড়ে ওঠার পেছনে প্রশাসন ক্যাডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর যে গুলি চালানো হয়েছিল, তার নির্দেশদাতা ছিলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। কারণ, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলির নির্দেশ দিতে পারেন শুধু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের নির্দেশেই যে গুলি চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন ভিডিও থেকেও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।