টানা আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভিসি এস এম ইমামুল হক স্বেচ্ছাছুটি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তার পদত্যাগের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা। টানা ১৭ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাজপথে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ১৫ দিনের ছুটি চেয়ে বুধবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান ভিসির পক্ষে আবেদন করেন।
ছাত্রনেতা লোকমান হোসেন জানান, ছুটির এ আবেদন আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় তারা ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। বিকাল ৫টার দিকে তারা মহাসড়ক ত্যাগ করেন।
হাসিনুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ভিসি ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন। ভিসির অবর্তমানে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহাবুব হাসান ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ছুটির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবারও বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ববির শিক্ষকরাও ৮ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
ববির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বলেন, নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে ভরে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্যাতন আর নিপীড়ন ছাড়া কিছুই হয় না এখানে। এখানে শিক্ষারও কোনো পরিবেশ নেই। এ বিষয়গুলো নিয়েই অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি।
অবরোধের কারণে এ পথে যাতায়াতাকারীরা দুর্ভোগে পড়েন। ঢাকা ও বরিশাল থেকে কুয়াকাটাগামী পর্যটকরাসহ হাজার হাজার যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে আটকে থাকতে হয়েছে। চলাচল করতে পারেনি বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালীর যাত্রীরাও।