উপ-সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ আনলেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তার কাছে এই ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এই উপ-সচিব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখায় কর্মরত। নিজ জেলা সিলেট হবিগঞ্জ।

উপ-সচিব বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ করেছেন বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক। দুর্নীতি দমন কমিশনে  অভিযোগ জমা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয় সরকারি কলেজের এই শিক্ষকের চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়া সংক্রান্ত একটি ভুয়া আবেদনের জটিলতা নিষ্পত্তি করতে উপ-সচিব পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের স্যার খুব বিশ্বাস করেন একজন উপ-সচিব ও একজন অতিরিক্ত সচিবকে। আর বিশ্বাসের ঘরে দিনেদুপুরে ডাকাতি করে চলছেন এই দুইজন।”

একজন অতিরিক্ত সচিবের বিরুদ্ধে  অভিযোগ তিনি শিক্ষা ক্যাডারের জন্য লোভনীয় পদগুলোতে বেছে বেছে নিজের লোক পদায়ন দেন। নিজের লোক হতে হলে বান্ডিল ছাড়াও কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। বাছাইয়ের যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই সদস্য হওয়া, নিজ জেলা বাগেরহাট বা খুলনায় হওয়া। জন্মসূত্রে আওয়ামী লীগবিরোধী মনোভাবাপন্ন হওয়া এবং মিথ্যাবাদীতায় সব্যসাচী হওয়া।

জানা যায়, ইতিমধ্যে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা অধিদপ্তরের  আইন, সরকারি কলেজ, এমপিও শাখা; ঢাকা বোর্ডের লোভনীয় পদ, সেসিপ ও সেকায়েপের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এই অতিরিক্ত সচিব তার পছন্দের লোক বসিয়েছেন।

এই অতিরিক্ত সচিবের প্রধান অপছন্দ মুজিবাদী ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে থাকার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় অপছন্দ গোপালগঞ্জ বাড়ী হওয়া।তৃতীয় অপছন্দ আওয়ামী লীগের কোনো বড় নেতাকে দিয়ে সুপারিশ করানো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048308372497559