কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের প্রভাব বেড়েই চলেছে। কিছু মানুষ একে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। নিমেষে তৈরি হয়ে যাচ্ছে ভুয়া ছবি ও ভিডিও। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে এআই ভয়েস ক্লোন। যার সহায়তায় কারও কণ্ঠস্বর নকল করা যাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বর্তমানে এআই ভয়েস ক্লোন জালিয়াতির পরিমাণ বেড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে আপনার চেনা কারও কণ্ঠকে হুবহু নকল করে দিচ্ছে এআই। এরপর ফোন কল করে টাকা ও ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে। ফলে ফাঁদে পড়ছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এই কণ্ঠ বদল আপনার পরিবারের যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে। হতে পারে আপনার মা বা বাবা, ভাই বা বোন, বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ। কাজেই কেউ আপনাকে ফোন করে সমস্যার কথা বলতে পারে। টাকা চাওয়া হতে পারে, জানতে চাওয়া হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও।
এআই ভয়েস ক্লোন স্ক্যাম কী
এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের আরেক নাম হলো ভয়েস সিন্থেসিস বা ভয়েস মিমিক্রি। এটি একটি প্রযুক্তি, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যেকোনো ব্যক্তির গলার স্বরের হুবহু নকল করতে পারে। এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন ভয়েস ডেটা এবং যার ভয়েস নকল করা হচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর। একাধিক ফ্রি এবং পেইড এআই টুলের সহায়তায় একজনের কণ্ঠ নকল খুব সহজেই অন্যজন করে ফেলছেন। এরপর প্রতারকেরা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে ফাঁদে ফেলছেন।
এআই ভয়েস ক্লোন স্ক্যাম থেকে বাঁচবেন যেভাবে
যদি এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে চান, তবে আপনার ভয়েস নোট অনলাইনে রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া যখনই আপনি এই ধরনের কল পাবেন, তখনই বিশ্বাস না করে, সেই ব্যক্তির আসল নম্বরে কল দেবেন। এরপর পুরো বিষয়টি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি কেউ ফোন করে আপনার বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বলে পরিচয় দিয়ে টাকা চায়, তবে আসল ঘটনা জেনে নিন। একটু সচেতন থাকলেই এমন স্ক্যাম বা জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাবেন।