উচ্চ মাধ্যমিকে অটোপাসের দাবিতে কতিপয় পরীক্ষার্থী অবরুদ্ধ করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের। আজ সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ রয়েছেন। মাত্র ২৫/৩০ জন পরীক্ষার্থী ও সঙ্গে কিছু অছাত্র বোর্ড অফিসে হম্বিতম্বি করছেন। মূল গেটে তালা মেরে দিয়েছেন। বোর্ড কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল ফল প্রকাশ হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
তবে, কয়েকজন পরীক্ষার্থী অবশ্য এই দাবিকে অটোপাস নয়, বৈষম্যহীন ও সব বোর্ডে এক পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ বলে প্রচার করছেন। এর আগে তারা জোর করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঢুকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ করার ঘোষণা আদায় করেন।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষায় সবাইকে পাস করাতে হবে, মর্মে কিছু শিক্ষার্থীর দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সবাইকে অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার আসন্ন ঘোষিতব্য ফলাফলের বিষয়ে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে শুনেছি যে, সবাইকে পাস করাতে হবে।’
এবারের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো নিতে পারলেই ভালো হতো উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পূর্বেকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল; তার সঙ্গে এসএসসি’র সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয়ে করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এসএসসিতে যারা কোন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হবার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে সে ফলাফলও নেয়া হয়েছে। কাজেই চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে বলা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে এখন অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই এ ধরনের দাবির কোন যৌক্তিকতা দেখি না।’