এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি |

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভায় সদরে অবস্থিত ফাতেমা মতিন মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় ১৭ ডিসেম্বর থেকে। বোর্ডের লেটফিসহ ফরম পূরণের নির্ধারিত শেষ তারিখ হয় আজ ২৮ ডিসেম্বর। কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ২৭০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট নিয়মিত ও অনিয়মিত ফরম পূরণ করেছে ২৭৪ শিক্ষার্থী। শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত ফি রয়েছে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ২২৩৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৯৫ টাকা। অনিয়মিত মানবিক ও বাণিজ্য শিক্ষার্থীদের ২৩৩৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ২৮৯৫ টাকা করা হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, নির্বাচনী পরীক্ষায় কার্যকৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা।

দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের দিন মজুরের কন্যার কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া অভিভাবকের জন্যে কলেজ অধ্যক্ষ মো. হোসেনের নিকট থেকে কেউ অতিরিক্ত টাকা গ্রহণে ছাড় পায়নি। এমদাদুল হক মিলনের বাগনির কাছ থেকে ৩০০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। মানবিক পরীক্ষার্থী আরজু আক্তারের কাছ ২৭০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এইভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি ও খরচবাবদ টাকা আদায় করা হয়। দেখা যায় এইচএসসির প্রবেশপত্র গ্রহণের সময়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোর্ড ফির অতিরিক্ত টাকা প্রধানেরা হাতিয়ে নিচ্ছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিভাবকেরা বলেন, আমরা কোথায় অভিযোগের কথা না বলতে হুমকি দেওয়া হয় তাদের সন্তানের ভবিষৎ বেশি ভালো হবে না। সরকার নির্ধারিত ফি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেনেও লিখিত অভিযোগের অজুহতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. হোসেন বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফি অনুযায়ী ফরম পূরণের টাকা নেওয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, আমরা অভিযোগ পেলেই বোর্ডকে অবগত করব। কিন্তু অধ্যক্ষ কারো কথা শুনেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, লিখিত অভিাযোগ করলে আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুবিধা হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029418468475342