এইচএসসির ব্যবহারিকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি |

নড়াইলের কয়েকটি কলেজে চলতি বছরের এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত ফি না দিলে ব্যবহারিকে কম নম্বর পেতে হবে এমন ভয়ে ছাত্ররা অতিরিক্ত ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। গত ১৬ মে থেকে শুরু হওয়া এসব ব্যবহারিক পরীক্ষা  আজ সোমবার শেষ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া কয়েকশ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে প্রতিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য ৬০ টাকা এবং আইসিটি ব্যবহারিকের জন্য ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের আটটি বিষয়ের জন্য ৪৮০ টাকা এবং আইসিটির জন্য ৫০ টাকাসহ মোট ৫৩০ টাকা অতিরিক্ত দেয়া লাগছে একেকজন শিক্ষার্থীকে।

এ বছর নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিজ্ঞানে ২৬৭, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২৯৮ এবং মানবিক বিভাগে ৩৮৮ জনসহ মোট ৯৫৩ জন পরীক্ষার্থী সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের নয়টি বিষয়ে, বাণিজ্য ও মানবিকে তিনটি করে বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বিজ্ঞান-বাণিজ্য-মানবিক বিভাগ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, ভাই এটা অনেকদিন ধরে চলে আসছে। সারাদেশেই এটা হয়ে থাকে। এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তামিমুল ইসলাম জানান, আমি গত তিনটি পরীক্ষায় কোনো টাকা দেইনি। ১৯ মে জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষার আগে আমার কাছ থেকে আটটি বিষয়ের জন্য ৪৮০ টাকা নেওয়া হয়েছে। টাকা না দিলে নম্বর কম দেওয়া হবে এমন ভয়ও দেখিয়েছে কলেজের কর্মচারীরা।

বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র মো. তাসিন আহম্মেদ বলেন, আমাদের দুটি বিষয়ের জন্য একটিতে ৬০ টাকা করে আর আইসিটির জন্য ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, এইচএসসি ফরম ফিলাপের সময় ব্যবহারিকের জন্য টাকা দিয়েছি। এখন আবার অতিরিক্ত এই ফি অন্যায়ভাবে নেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এটা হয়ে আসছে বলে আমাদের কলেজের শিক্ষকরা বলেছেন। এটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে।

জানতে চাইলে সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের কলেজে অতিরিক্ত কিছু লোক কাজ করে। যাদের বেতন আমরা ঠিকমতো দিতে পারি না। মূলত তাদের জন্যই এই টাকা ব্যয় করা হয়। এরসঙ্গে শিক্ষকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অফিসিয়ালি এ ধরনের ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা কর্তৃপক্ষ করেও না। তবে ব্যবহারিকে যে সকল কর্মচারীরা সহায়তা করে মূলত তাদেরকে স্বেচ্ছায় ছাত্ররা সহযোগিতা করে থাকে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025150775909424