এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে একি দেখলেন চেয়ারম্যান!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে স্মার্ট ফোন নিয়ে ঘোরাঘুরি করায় রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রের চারজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে অভিযুক্ত চারজন শিক্ষককে শোকজ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রসায়ন প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষ প্রত্যবেক্ষকদের কাছে মোবাইল ফোন পান ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। পরে বিকেলে বোর্ড থেকে অভিযুক্তদের পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করা হয়।

পরিদর্শনে গিয়ে একজন লিফটম্যানের কাছেও মোবাইল দেখতে পান চেয়ারম্যান। লিফটম্যানকেও পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের রেজিস্টার না থাকা, সাড়ে ৯ টার পর যে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করা, পুলিশ সদস্যদের হাতে মোবাইল থাকা, বেশিরভাগ শিক্ষক মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করার বিষয়গুলো চেয়ারম্যানের নজরে আসে। এজন্য হাবিবুল্লাহ বাহার পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বোর্ড। কেন্দ্র কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করার শিক্ষকরা হলেন, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলেন খান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সুরাইয়া বেগম এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আরিফ হোসেন। মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ লিফটম্যান রেজাউল করিম।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বোর্ড থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং লিফটম্যানকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এবং কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করে আলাদা আলাদা তিনটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

বোর্ড সুত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বুধবার সকালে রসায়ন প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালে রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কেন্দ্রে যান ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখতে পান দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোন রেজিস্টার নেই। শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নির্ধারিত সময় বেলা সাড়ে নয়টার পর অনেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করছে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ব্যবহার করছেন। শিক্ষকদের অধিকাংশই মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন। এসময় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে অভিযুক্ত ৪ জন শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোন পান বোর্ড চেয়ারম্যান। লিফটম্যানের কাছেও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে বোর্ড থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এভাবে কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনা কে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা পরিচালনার নীতিমালা-২০২১ এর সুস্পষ্ট লংঘন বলছে ঢাকা বোর্ড।

জানা গেছে, মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা ৪ জন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আর দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের রেজিস্টার না থাকা, সাড়ে ৯ টার পর যে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করা, পুলিশ সদস্যদের হাতে মোবাইল থাকা বেশিরভাগ শিক্ষক মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় কেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্র বাতিল করা হবে না ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আর লিফটম্যানকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা বোর্ড।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (SUBSCRIBE) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034689903259277