এই শিক্ষা কি নৈতিকতা জাগ্রত করতে পারে?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে জনপ্রিয় কথাশিল্পী আনিসুল হক একবার বলেছিলেন, বুয়েটের কোনো এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল চাকরি জীবনে তাদের মধ্যে কে কে ঘুষ খাবে?

উত্তরে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী হাসতে হাসতে হাত তুলে বলেছিল, তারা ঘুষ খাবে। ৩-৪ শতাংশ ইতস্তত করছিল অর্থাৎ তারা ঘুষ খেতেও পারে আবার নাও খেতে পারে। বৃহস্পতিবার  (২০ জুন) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য পাওয়া যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মাছুম বিল্লাহ। 

বোঝা যাচ্ছে, সুযোগ পেলে তারাও হয়তো ঘুষ হাতছাড়া করবে না। ধরে নেয়া হয়, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়, তারাই যদি ঘুষ নেয়ার মতো গর্হিত কাজকে স্বাভাবিক মনে করে, তাহলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আমরা তাদের কী শিক্ষা দিচ্ছি?

মানবজীবনের উন্নয়নে ও মানবকল্যাণের সব বিষয়ের প্রধান নির্ণায়ক হল নৈতিকতা। নৈতিকতার অভাবে শিক্ষক সঠিকভাবে শিক্ষাদান করেন না, অফিসের কাজ ঠিকমতো হয় না, মানবসেবা হয় না, অন্যের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া হয় না, মানুষকে পদে পদে হয়রানি করা হয়, ঠকানো হয়। মানুষ কোথায় শিখবে এ নৈতিকতা?

মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে বড় পার্থক্য হল, মানুষ নৈতিকতাসম্পন্ন জীব, অন্য প্রাণী তা নয়। ন্যায় আর সত্যের পথ অনুসরণ করে অন্যের ক্ষতি না করে যতটুকু সম্ভব উপকার করা, অপরের কল্যাণ করা প্রতিটি নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের কাজ।

প্রতিটি ধর্মেই তাই নৈতিকতার কথা বলা হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে; কারণ নৈতিকতাবিহীন মানুষ ধর্মীয় কাজ করে কী করবেন? শুধু শারীরিক প্র্যাকটিস?

নৈতিকতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সততা, মহত্ত্ব, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা। লোভ-লালসা, উচ্চাভিলাষ ও বিবেচনাহীন জৈবিক কামনা মানুষকে অসৎ পথে পরিচালিত করে। ফলে সমাজ ও দেশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।

আমরা দেশের বড় বড় শহরের দিকে তাকালেই দেখতে পাই সুবিশাল অট্টালিকা। মনে হয় যেন দেশ এগোচ্ছে হুহু করে; তবে সামাজিক মূল্যবোধ যে অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে তা যদিও চোখে দেখা যায় না, অনুভব করা যায়, আর তার ফলে যা হয় আমরা তা প্রত্যক্ষও করছি ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে; কিন্তু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি কম।

সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি- এটি নৈতিকতার অবক্ষয়েরই প্রমাণ। দেশের বৈষয়িক উন্নতির সঙ্গে নৈতিকতার অধঃপতন নিয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কয়েক যুগ আগে যেসব অপরাধের কথা চিন্তা করা যেত না, এখন সে ধরনের অপরাধ সমাজে সংঘটিত হচ্ছে দেদারসে।

এক সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ছিল খুবই কম। কিন্তু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর শিশুশিক্ষায় ব্যাপকহারে বেড়েছে কোচিং। বছর দু’এক আগের গণসাক্ষরতা অভিযানের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের ৮৬.০৩ শতাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হয়েছে।

আর ৭৮ শতাংশ বিদ্যালয়ে কোচিং ছিল বাধ্যতামূলক। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, পাসের হার বাড়াতে খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দেয়া, বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে।

পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করে লেখা এবং উত্তরপত্র মেলানোর জন্য শেষের ৪০-৬০ মিনিট অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই মাসিক অর্থ দিয়ে বাধ্যতামূলক কোচিং করতে হয়। আর অনেক প্রতিষ্ঠানে কোচিং না করলেও টাকা দিতে হয়।

৪৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় না। ৭০ শতাংশ বিদ্যালয়ে স্কাউটিং হয় না। অনেকের বিপথে যাওয়ার যাত্রা এখান থেকেই শুরু হয়। একজন মানুষ অবৈধ অর্থ কেন নেবেন না সে বিষয়ে তার কোনো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ আছে কি? নেই।

সারা জীবনের শিক্ষায় তিনি হয়তো এ বিষয়টি ভালোভাবে কোথাও পাননি। সবকিছুর মূলেই রয়েছে শিক্ষা। অবৈধ অর্থ না নেয়ার শিক্ষা সে কোথায় পাবে? ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ’-এর মতে বাংলাদেশে দুর্নীতি একধাপ কমাতে পারলে বিনিয়োগ বাড়বে জিডিপির ৪ শতাংশ এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বাড়বে ০.৫ শতাংশ।

দেখা যায়, অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্নীতি দমন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং সামাজিক সুরক্ষা ও সুশাসনের চরম অবনতি ঘটেছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে দুর্নীতি। ফলে অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে, যা টেকসই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।

অপরিকল্পিত নগরায়ণের প্রতাপে সবুজ চত্বর, খেলার মাঠ শুধু সামাজিক চারণক্ষেত্র থেকে নয় বরং কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পর্যন্ত হারিয়ে যেতে বসেছে। অবাধ আকাশ সংস্কৃতির নিষ্ঠুর করাল গ্রাসে পড়ে সুস্থ বিনোদনের অস্তিত্ব আজ খুঁজে পাওয়া দায়।

কিশোর ও তরুণরা ভালো বই পড়ে না, ভালো সিনেমা দেখে না। বন্ধুত্বের যথার্থতা তারা বোঝে না। পরিবার শিক্ষার বড় অঙ্গন। সেখান থেকে তারা এ শিক্ষা পায়নি। বাবা-মায়ের ব্যস্ততা, সন্তানদের প্রতি উদাসীনতা, কিংবা তাদের অনৈতিক উপায়ে অর্জিত অর্থ এসব কিশোরকে অনৈতিক কাজে উৎসাহ জোগায়।

এর সঙ্গে সমাজের অবক্ষয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীদের লালন করা এ পরিস্থিতিতে ঘি ঢেলেছে। পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থানের ওপর মানুষের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নির্ভরশীল। মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছানির্ভর।

আমরা নৈতিকতা আর মূল্যবোধকে এক করে সত্যিকারের নৈতিকতা থেকে দূরে সরে পাশ্চাত্যের সামাজিক মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নৈতিক মূল শিক্ষা থেকে এক ধরনের বন্য জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজছি।

ভালো শিক্ষক, ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি, অল্প বয়সীরা কোথায় ভালো হওয়ার শিক্ষা পাবে, নৈতিকতার শিক্ষা পাবে, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা পাবে? আমরা জানি ভিক্টোরিয়ান যুগের শিক্ষা দর্শনে Spare the rod spoil the child নীতির প্রচলন ছিল।

তখন মনে করা হতো কঠোর অনুশাসনের মধ্যে না রাখলে শিশু-কিশোররা পথভ্রষ্ট হয়, পড়াশোনায় অমনোযোগী হয় এবং ভালো করে পাঠ আত্মস্থ করতে পারে না। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে শিক্ষা সম্পর্কে এ ধরনের কঠোর চিন্তাভাবনা দূর হয়েছে।

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষককে Friend, philosopher and guide হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর পরম বন্ধু। শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করার জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ছবির মাধ্যমে শিখন-শেখানো কার্যকর করতে হবে। একটি শিশুর বিকাশের সূতিকাগার হচ্ছে তার পরিবার।

পরিবারে মা-বাবার সঠিক নির্দেশনা পেলে একটি শিশু ছোট থেকেই ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। আর পরিবারে মা-বাবা যদি শিশুর বিকাশকালে তার আবেগ, মন, আচরণ সম্পর্কে অপরিপক্ব থাকে, তাহলে সেই পরিবারে শিশুর বিপথগামিতার আশঙ্কা থাকে বেশি।

এছাড়া বাবা-মা, বা পরিবারের অন্য সদস্যদের অসদাচরণ, মিথ্যাচার, দুর্নীতিপরায়ণতা, ভারসাম্যহীন ব্যবহার শিশু-কিশোরকে বিপথগামী করে তোলে। কাজেই পরিবার থেকেই শিশু-কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান শুরু করতে হবে বাস্তব জীবনে অনুশীলনের মাধ্যমে; আর সেজন্য পরিবারের সদস্যদের সর্বত্রই নৈতিক আচরণ করতে হবে।

শিল্পকলা, চিত্রকলা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রভিত্তিক আন্দোলন জোরদার করে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ এবং লাইব্রেরি শিশু, কিশোর ও তরুণ সমাজের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, বিভিন্ন শিশু-কিশোর সংগঠন, শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চার নব নব দ্বার উন্মোচন করতে হবে।

মুক্ত পরিবেশে ফুটবল, ক্রিকেট, হাডুডু, ব্যাডমিন্টন, মোরগ লড়াইসহ সব ধরনের খেলাধুলার সুযোগ দিতে হবে। স্কাউটিং ও গার্লসগাইডের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

গণমাধ্যমে যদি কিশোর ও যুবকদের সচেতন করার জন্য কোনো প্রামাণ্যচিত্র বা নাটকের মতো চমৎকার করে প্রোগ্রাম চালু করে, তাহলে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ও সচেতন ভূমিকা থাকতে হবে কিশোর অপরাধ দমনে।

আমার এখনও মনে আছে, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলতেন, তোমরা যে পোশাকটি পরেছো, হিসাব করে দেখ এর কত অংশ একেবারে সৎ অর্থ দিয়ে, কত শতাংশ অন্য মানুষের বা আত্মীয়স্বজনের বা প্রতিবেশীর হকবঞ্চিত অর্থ দিয়ে তৈরি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমাদের এ হিসাব রাখতে হবে, তা না হলে এ শিক্ষিত হওয়ার কোনো মূল্য নেই, তুমি মানুষকে ঠকিয়ে কীভাবে নিজের আরাম-আয়েশ বাড়ানো যায় সেটিই চিন্তা করবে।

এ ধরনের শিক্ষা ও আলোচনা শ্রেণীকক্ষে হতে হবে; কিন্তু তা হয় না। এ ধরনের আলোচনা ছাড়া শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকবে সরকারি আমলা হয়ে কীভাবে সাধারণ মানুষের ওপর ছড়ি ঘোড়াবে, পুলিশে চাকরি করে কীভাবে মানুষকে ভয় পাইয়ে দেবে আর ইনকাম ট্যাক্সে চাকরি করে কীভাবে অজস্র সম্পদের মালিক হবে।

শিক্ষা মানুষের দায়িত্ববোধকে এবং মানুষের মধ্যে ঘুমন্ত মানবতাকে জাগ্রত করে, আর তা না করতে পারলে সে শিক্ষার মূল্য কী? একটি বৃক্ষকে সবল ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে হলে তার সব পর্যায়ে পরিচর্যা প্রয়োজন।

এর কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত, জরাগ্র্রস্ত, দুর্দশাগ্র্রস্ত হলে অপরাপর অংশে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠবে এবং একসময় গোটা গাছটাই ক্ষতিগ্র্রস্ত হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে, ডিগ্রি দিয়ে সমাজে ছেড়ে দিচ্ছি। তারা নিজ পরিবার, সমাজ, মানুষ ও দেশকে কী দেবে তার কোনো শিক্ষা দিচ্ছি না, নীতি-নৈতিকতার কোনো শিক্ষা দিচ্ছি না। তাহলে তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আমরা কী আশা করতে পারি?

 

লেখক : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত, সাবেক ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কমিশনসহ আরো কিছু সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে - dainik shiksha শিক্ষা কমিশনসহ আরো কিছু সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে শপথ পড়ালেন শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে শপথ পড়ালেন শিক্ষার্থীরা বায়তুল মোকাররমে দু‘পক্ষের সংর্ঘষ, আহত কয়েকজন মুসল্লি - dainik shiksha বায়তুল মোকাররমে দু‘পক্ষের সংর্ঘষ, আহত কয়েকজন মুসল্লি শর্তসাপেক্ষে এমপিও পাবেন বিপিএড শিক্ষকরা - dainik shiksha শর্তসাপেক্ষে এমপিও পাবেন বিপিএড শিক্ষকরা ঢাবিতে হ*ত্যার ঘটনায় ৬ ছাত্র আদালতে - dainik shiksha ঢাবিতে হ*ত্যার ঘটনায় ৬ ছাত্র আদালতে নির্যাতনে তোফাজ্জলের শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে - dainik shiksha নির্যাতনে তোফাজ্জলের শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে ১৩ চ্যালেঞ্জ শিক্ষাখাতের, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হচ্ছে - dainik shiksha ১৩ চ্যালেঞ্জ শিক্ষাখাতের, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হচ্ছে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১ হাজার ৮৮৭ শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১ হাজার ৮৮৭ শিক্ষক জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় সমন্বয়কসহ ৮ শিক্ষার্থীর নামে মামলা - dainik shiksha জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় সমন্বয়কসহ ৮ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030992031097412