সারাদেশের কলেজগুলোতে একযোগে শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম। ১০ জুন প্রকাশিত হয়েছে ভর্তিচ্ছুদের প্রথম পর্বের তালিকা। ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে এ পর্বের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে কালিহাতীর বিভিন্ন কলেজে চলছে ভর্তির অভিনব প্রতিযোগিতা। আর ওই প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে দেখা গেছে ব্যানার, পোস্টার, মাইকিং, স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়া ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলছে উদ্বুদ্ধকরণ।
এ সময় সরকার প্রদত্ত উপবৃত্তির প্রতিশ্রুতি, বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, কলেজে নানা ধরনের আর্থিক ছাড় দেয়াসহ নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যেও কলেজ খোলা রেখে নিয়মিত ‘ট্যুর’ বা ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এর নামে অভিনব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজটি উপজেলার একমাত্র মহিলা কলেজ। এছাড়া সার্বিক বিবেচনায় টাঙ্গাইলের মহিলা কলেজগুলোর মধ্যে আমরাই সেরা। গ্রামের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিতে আমরা বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
ফেরদৌস আলম ফিরোজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু কাউছার বলেন, অভাবনীয় ফলাফলসহ সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পরও কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টিকে থাকার জন্যই আমাদের ভর্তি প্রতিযোগিতায় নামতে হয়।
তালেমন হযরত আলী মৎস্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো.তোফাজল হোসেন তুহিন বলেন, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের তুলে এনে হাতে-কলমে শিক্ষা দেই। আমাদের মতো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলছে। অথচ আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। তাই সরকারের উচিত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেয়া।
এদিকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভর্তি প্রতিযোগিতার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেয়েও নিশ্চায়ন করা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।