একাধিক প্রেম করায় কলেজছাত্র খুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি |

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে নিখোঁজের দুই মাস পর এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার মেন্দির হাওরের একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছাত্র মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২২)। সে মাধবপুর সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এ ঘটনায় একই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়া ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

তিনি গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৭) হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২২) মাধবপুর সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন কলেজে পড়াশোনা করে। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে উজ্জ্বল মাঝে মাঝে ফারজানা আক্তারের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফারজানার বাবা-মা ঢাকায় যান। এ সুযোগে ২০ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল তার বাড়িতে যায়। ওই রাতে তারা দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এ সময় উজ্জ্বলের অন্য এক প্রেমিকা তাকে ফোন দিতে থাকে। কিন্তু সে ফোন রিসিভ না করে মেসেজ দেয়। সেটি দেখতে পেয়ে ফারজানা প্রথমে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উজ্জ্বলকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়।

ওই রাতেই ঘরে থাকা মসলা বাটার শিল (পুথাল) দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। পরদিন ঢাকায় গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তার বাবা ঢাকা থেকে এসে মরদেহ নিয়ে মেন্দি হাওরে পুঁতে রাখেন।

এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বলের বাবা থানায় একটি জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে তদন্ত শুরু হয়। ২১ এপ্রিল ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

একপর্যায়ে ফারজানা ঘটনা স্বীকার করে। তার বাবা মঞ্জু মিয়াও পরে বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দেখানো তথ্যমতে সোমবার বিকেলে হাওর থেকে উজ্জ্বলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023870468139648