শহীদদের স্মরণ করে বইমেলায় বিরাজ করছে একুশের আবহ। কিশোর ও তরুণদের মধ্যে একুশের প্রতি ভালোবাসা ফুটে ওঠে তাদের পোশাকে। অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলবেঁধে সাদাকালো পোশাকে এসেছিল বইপ্রেমীরা। গালে, কপালে বর্ণমালা, শহিদ মিনার এঁকে, তারা স্মরণ করেছে শহিদদের। একদিকে সাপ্তাহিক ছুটি অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারির টান।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন স্টলে নানা বই বিক্রি হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের বই প্রকাশ নিয়ে গুরুত্বারোপ করে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক বলেন, ভাষা আন্দোলনের তৃণমূল পর্যায়ের ইতিহাস প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। উনিশশো বায়ান্ন সালের অমর একুশের পর অনেকগুলো বছর চলে গেছে। আজ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের জেলা পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস প্রকাশিত হলো না।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে বাংলা একাডেমি বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে ভাষা সংগ্রাম নিয়ে প্রকাশনা চোখে পড়ে না। ভাষা শহিদদের নিয়ে গ্রন্থমালাও বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমির স্টলে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহিদ বিষয়ে ৪২টি বই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ভাষা শহিদ গ্রন্থ হচ্ছে ১৪টি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গবেষণা বিষয়ে বই রয়েছে ১৯টি। বেশ কিছু রয়েছে একুশের প্রবন্ধ ও স্মারকগ্রন্থ।
বৃহস্পতিবার ভাষা আন্দোলন বিষয়ক কয়েকটি নতুন বই—কথা প্রকাশের এম আবদুল আলীমের ‘ভাষা-আন্দোলন-কোষ’ প্রথম খণ্ড, ড. এম আবদুল আলীমের ‘ভাষা সংগ্রামী এম এ ওয়াদুদ’, নালন্দার সোহেল মল্লিক সম্পাদিত ‘ভাষা আন্দোলনের নির্বাচিত ৫০ কিশোর গল্প’, আফসার ব্রাদার্সের সাঈফ আবেদীনের ‘শিশু-কিশোরদের একুশের গল্প’, অন্বেষা প্রকাশের ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্মারক ও তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বই ‘একুশের স্মৃতি’ মেলায় এসেছে। এ ছাড়াও অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশ হতে যাচ্ছে বিশ্বজিত্ ঘোষ রচিত ‘ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা’ গ্রন্থটি।
বৃহস্পতিবার গ্রন্থমেলায় মোহাম্মদ হাননান রচিত ‘শতাব্দীর বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়।