আগামী একমাসের মধ্যে শিক্ষা আইনকে চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসইডিপি প্রকল্পের সভাকক্ষে শিক্ষা আইন নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এই শিক্ষা সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে তিনি জানান। শিক্ষা সংক্রান্ত সব আইন সমন্বয় করে শিক্ষা আইনের খসড়া পরিমার্জন করার লক্ষ্যে এ সভা আহ্বান করা হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাবিবুল আওয়াল শিক্ষা আইনের নানা ত্রুটির দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান বলেন, নোট-গাইড বই ব্যবসায়ীরা যে আবদার করেছিলেন তা রাখা হচ্ছে না। অর্থাৎ নোট-গাইড বই বন্ধ এবং কোচিং ব্যবসা বন্ধ রেখেই আইনটি চূড়ান্ত হচ্ছে। তার মতে, এবার আটঘাঁট বেঁধেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইনটি চূড়ান্ত করতে কাজ করার জন্য নেমেছে। সব কাজ শেষ করে আগামী একমাসের মধ্যেই তা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। সভায় শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত নয় বছর ধরে শিক্ষা আইনের শুধু খসড়াই তৈরি হয়েছে। আর সেই খসড়া রিভিউয়ের কবলে পড়েছে। গতকাল এনিয়ে চারবার রিভিউ করা হল। এরমধ্যে তিনবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে গেলেও সেখান থেকে নানা পর্যবেক্ষণ দিয়ে আইনটিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
খসড়ায় নোট-গাইড নিষিদ্ধ ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধের ‘বিধি-বিধান’ থাকায় প্রত্যাশিত আইন বাধার মুখে পড়েছে অভিযোগ করে শিক্ষাবিদরা বলছেন, আইন ঠেকাতে নোট-গাইড ব্যবসায়ী ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত সিন্ডিকেট একজোট হয়ে কাজ করছে। এই চক্র যেকোন মূল্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন থেকে নিজেদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারাগুলো বাদ রাখতে চায়। কিছু আমলাও বছরের পর বছর ধরে এদের হয়ে কাজ করেছেন। যার ফলে দীর্ঘসূত্রতার কবলে শিক্ষা আইন। কিন্তু অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদের দাবি, আইন নিয়ে আর দীর্ঘসূত্রতা হবে না।