এক লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট দেওয়ার পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সশরীর ও অনলাইনের মিশ্র পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি। প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিকে মিশ্র পদ্ধতিতে নিতে প্রায় এক লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষককক্ষ ও ল্যাবে প্রায় ১৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগের চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোরডেবল ইন্টারনেট সম্মিলিতভাবে একটি ব্রডব্যান্ড পলিসি তৈরির কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা, ডিজিটাল দক্ষতা, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

‘মিশ্র পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কানেকটিভিটি’ শীর্ষক কর্মশালা রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। এতে বলা হয়, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের এক লক্ষাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০২৩ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৪০ শতাংশ ও ২০২৫ সালে বাকি ২৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংযোগ স্থাপন করা হতে পারে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাড়ে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮ হাজারের বেশি উচ্চবিদ্যালয়, ৯ হাজারের বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ হাজার কলেজ, দেড় শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ থেকে ২০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে।

কর্মশালায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষাকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করতে হলে কানেকটিভিটি লাগবে। ইন্টারনেট সংযোগ মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ডাল-ভাতের মতোই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে মিশ্র পদ্ধতিতে নিয়ে থেমে থাকলে হবে না। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে অনলাইনে করেই থামতে হবে। এ কাজ একবারে হবে না, সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, সরকার এমপিওভুক্ত সাড়ে তিন লাখ ব্যক্তিকে বেতন দেয়। এত ব্যক্তিকে কীভাবে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? ডিভাইস ও সংযোগ দেওয়া হলো, কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকলে কোনো লাভ হবে না। 

এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লক্ষাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। মিশ্র পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের অনেক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত থাকবে। এই বিপুল কর্মযজ্ঞে সমন্বয় করবে কে? আর্থিক বিষয়গুলো দেখবে কারা? কারিগরি, আর্থিক ও ব্যবস্থাপনা—তিনটি বিষয়ে সমাধান করতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038769245147705