নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভরাপারা ফাজিল মাদ্রাসায় সরকারি প্রজ্ঞাপন ও গেজেট অবজ্ঞা করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আরবী প্রভাষক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই পদে আবেদনকারী প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন ভূঞা শিক্ষামন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মো. আব্দুল মতিন ভূঞা দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, গত ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল ও ২০ আগস্ট তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ২৫ অক্টোবর ঢাকায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আরবী প্রভাষক পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় নিয়োগ বোর্ড রেজুলেশনের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল করেন।
মতিন ভূঞা অভিযোগ করেন যে, এই নিয়োগে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়েছে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২২ অক্টোবর এক পরিপত্র জারি করে নিয়োগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আরবী প্রভাষক পদে ৩ নভেম্বর পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ৪ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ড গঠন করে। যা নিয়োগবিধির পরিপন্থি।মো. আব্দুল মতিন ভূঞা আরো বলেন, আবেদিত প্রার্থীদের না জানিয়ে এবং কোনো ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে গোপনীয় ভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম নামে এক প্রভাষক ব্যক্তিকে আরবী প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ভরাপারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু সাদেক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমপি’র সঙ্গে কথা বলে নিয়মের মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওয়ালী উল্লাহ অভিযোগ প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।