স্কুলের দেওয়ালে থাকা মৌচাক থেকে মধু বিক্রি করে স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার কথা ছিলো। কিন্তু মৌচাক ভাঙার পর শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজন মধু ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা মোজাফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিপি জানান, আমাকে না জানিয়েই গত ৫ জানুয়ারি মৌচাক ভেঙে তারা মধু ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন।
কয়েক মাসে আগে স্কুলের দেয়ালে মৌমাছিরা ১৯টি মৌচাক করে। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক থাকায় ঝুঁকিতে পড়ে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন : এক বিদ্যালয়ে ১৯ মৌচাক, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার স্বার্থে মৌচাক ভাঙা হবে। যা মধু পাওয়া যাবে, তা বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো হবে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার জাহান বলেন, মৌচাক ভাঙার পর ৫ থেকে ৬ কেজি মধু পাওয়া যায়, যা পরে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, মধুর পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়।