এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেননি কারিগরির নতুন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে যোগদানের তিন মাস পার হয়ে গেলেও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সুপারিশ পেয়ে যোগদান করে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হলেও নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করছে না অধিদপ্তর। তারা সবাই যোগদান করে অফলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এমপিওভুক্ত হতে না পারায় শিক্ষকদের ঈদ উদযাপন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, এমপিওভুক্ত হতে না পারায় তারা উৎসবভাতা পাবেন না। ফলে নিজ বাসস্থান থেকে কয়েকমাস দূরে অবস্থান করে ক্লাস নিলেও আর্থিক জটিলতায় তাদের ঈদ উদযাপন করা হবে না। 

শিক্ষকরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ পেয়ে যোগদান করলেও এমপিওভুক্ত হতে পারিনি। সব শিক্ষকরা বিভিন্ন কারিগরি ও বিএম প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। কিন্তু এমপিওভুক্ত হতে পারছি না। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর অফলাইনে শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়া করে। আমার আবেদন করলেও সে বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না। আবেদন ত্রটিপূর্ণ হলে তা বাতিল করাও হচ্ছে না। যোগদানের পর দুই মাসে যারা এমপিওর আবেদন করেছেন কারও আবেদনই নিষ্পত্তি হয়নি। অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোনো নোটিশ জারি করেনি। 

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে নিয়োগ পেয়েছি কিন্তু দীর্ঘ তিন মাস প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের বেতন দেয়নি। সরকার থেকেও আমরা কোনো ধরনের বেতন পাচ্ছি না এমপিওভুক্ত না হতে পেরে। ইতোমধ্যে মাদরাসা এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন্তু কারিগরি অধিদপ্তর এখনো পর্যন্ত কোনো এমপিও দেয়নি। এই অবস্থায় আমরা বিনা বেতনে বাড়ি থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এক মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এমপিওভুক্ত না হতে পারায় শিক্ষকরা ঈদ কিভাবে করবেন তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তারা বলছেন, আমরা এখনো এমপিওভুক্ত হইনি। নিজ জেলায় আমাদের পরিবার এ নিয়ে শঙ্কিত। ঈদ কিভাবে করবো বুঝতে পারছি না। বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। এ পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্ত হতে না পারলে আমরা উৎসবভাতা পাবো না। আমরা এসব নিয়ে শঙ্কিত।


 
শিক্ষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা অধিদপ্তরে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আলোচনায় কাজ না হলে ঈদের আগের এমপিওভুক্ত হওয়ার দাবিতে আমরা সব কারিগরি শিক্ষক অধিদপ্তরে আন্দোলন শুরু করবো। 

এ বিষয়ে জানতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শিক্ষকদের এমপিওর আবেদন প্রক্রিয়া করে এমপিও শাখা। এ শাখার সহকারী পরিচালক বিমল চন্দ্র মিশ্রর সঙ্গে গতকাল শনিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002816915512085