এখনো পানি বুয়েটের পাঁচ হলে

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তিতুমীর, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী ও আবদুল মান্নান ও আহসানউল্লা হলে এখনো বৃষ্টির পানি আটকে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বৃষ্টিতে পাশাপাশি থাকা এই পাঁচ হলের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা ভিজে যায়। 

বুয়েটের তিতুমীর হলে আজ বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ভিজে যাওয়া বই-খাতা বারান্দায় শুকাতে দিয়েছেন। একটি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, খাটের ওপরে টেবিল-চেয়ার তুলে সেখানে বই–খাতা ও অন্যান্য জিনিস রাখা। 

এই হলের ১০০৬ নম্বর কক্ষে থাকেন কেমিকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল। তিনি বলেন, গতকালের বৃষ্টিতে তাঁদের কক্ষে পানি উঠে যায়। তাঁরা বই, খাতা ও অন্যান্য জিনিস মেঝে থেকে খাটে তুলে রাখেন। পরে রাতে তিনি দোতলায় এক বন্ধুর কক্ষে থাকেন। সকালেও যখন কক্ষে ফেরেন, তখনো পানি ছিল। এরপর তিনি হল থেকে বের হয়ে দুপুরের পর ফিরে আসেন। এসে আর কক্ষে পানি দেখেননি।

তিতুমীর হলেন নিরাপত্তাকর্মী আবদুল মান্নান বলেন, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের পর এবারই প্রথম নিচতলার বিভিন্ন কক্ষে পানি উঠেছে। এমনিতে বৃষ্টির পানি হল প্রাঙ্গণে কিছু সময় জমে থাকে। তবে গতকালের বৃষ্টির পানি এখনো জমে আছে।

সরেজমিনে শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী ও আবদুল মান্নান হল প্রাঙ্গণে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। তবে এসব হলে গিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীরা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং কোনো হলেই এই প্রতিবেদককে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি।

এদিকে দুপুরের পরও বুয়েট এলাকার মসজিদের সামনের সড়ক ও আবাসিক এলাকায় হাঁটুসমান পানি ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আবাসিক এলাকার নিচতলার ঘরগুলোতে ও পার্কিংয়ে পানি দেখা যায়। 

কথা হয় আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. শওকত আলীর সঙ্গে। তিনি কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের ল্যাবের সহকারী। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তখনো তাঁর ঘরে হাঁটুসমান পানি। ঘরে যাতে আর পানি না ঢোকে, সে জন্য তিনি নিজেই ঘরের দরজায় ইট-সিমেন্ট দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ - dainik shiksha এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025019645690918