‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’ হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিস। এ অফিসের ৭ পদের ৬টি পদ শূন্য। শুধুমাত্র একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) দিয়েই চলছে কাজ। একজন অফিসার ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় এ দাপ্তরিক কাজ ‘মুখ থুবড়ে’ পড়ার উপকৃম হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসে মোট পদ সংখ্যা ৭টি। এরা হলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার, একজন উচ্চমান সহকারী, একজন নিম্নমান সহকারী, একজন হিসাব সহকারী এবং একজন অফিস সহায়ক। এর মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার গত ২৫ জানুয়ারি পিরোজপুর সদর উপজেলায় বদলি হওয়ায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনিও গতকাল বুধবার বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বদলি হয়ে গেছেন। অফিসের নিম্নমান সহকারী গত ৬ মার্চ বদলি হয়ে নাজিরপুরে চলে গেছেন। উচ্চমান সহকারী পদটি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এবং হিসাব সহকারী এবং অফিস সহায়ক পদ দুটি ১৩ বছর ধরে শূন্য আছে। ফলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো. আহসানকে একাই চালাতে হচ্ছে ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিস।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান একাই অফিস করছেন। বিভিন্ন কাজের জন্য শিক্ষকদের ভিড় লেগেই আছে।
তিনি জানান, অফিসের লোকবল না থাকায় দাপ্তরিক কাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
জানতে চাইলে পিরোজপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শুধু ইন্দুরকানীতে নয় পিরোজপুর সদর এবং নেছারাবাদেও একই সমস্যা। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। কর্মচারী না পেলেও খুব শিগগিরই সহকারী শিক্ষা অফিসার পদায়ন দেয়া হতে পারে।